ভয়ে কাঁপছে চিন! ভারতের ‘ত্রিশক্ত কর্পস’ দেখতেই মাথায় হাত চিনের!

Spread the love

ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা নতুন কিছু নয়। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের সামরিক শক্তি বাড়ানোর প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি, ভারতের সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কর্পস (Trishakti Corps) সিকিমের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর ‘লাইভ ফায়ারিং ডেমনস্ট্রেশন’-এর মহড়া করেছে। এই মহড়া শুধু ভারতের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিরই নয়, বরং সীমান্তে ভারতের শক্তি প্রদর্শনেরও প্রতিফলন। এই মহড়া দেখিয়ে দিল, ভারত যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।

সম্প্রতি, সিকিমে ভারতীয় সেনার ত্রিশক্তি কর্পস (Trishakti Corps) ‘লাইভ ফায়ারিং ডেমনস্ট্রেশন’ বা সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়ার আয়োজন করেছে। এই মহড়া ভারতীয় সেনার শক্তি এবং যুদ্ধ প্রস্তুতি যাচাই করার পাশাপাশি সীমান্ত রক্ষার ক্ষেত্রে দেশের প্রতিরক্ষা শক্তির উজ্জ্বল প্রতিফলন।

ত্রিশক্তি কর্পসের শক্তি প্রদর্শন

ভারতীয় সেনার এই মহড়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন সীমান্তে ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় সেনা পিনাকা মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চারসহ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে এই মহড়া পরিচালনা করে। পিনাকা রকেট লঞ্চার স্বদেশী প্রযুক্তিতে নির্মিত একটি বিধ্বংসী অস্ত্র, যা মাত্র ৪৪ সেকেন্ডে ১২টি রকেট উৎক্ষেপণ করতে পারে। এই রকেটের কার্যক্ষমতা ৪০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।

ত্রিশক্তি কর্পসের একটি বিশেষত্ব হল এর দ্রুত মোতায়েন ও অভিযানের সক্ষমতা। ভারতীয় সেনার এক অফিসার জানান, “৩৩ কর্পস সফলভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া করেছে, যেখানে যুদ্ধ প্রস্তুতি, দ্রুত মোতায়েন ও আক্রমণের ক্ষমতা তুলে ধরা হয়েছে।” ৩৩ কর্পসের সদর দফতর পশ্চিমবঙ্গের সুকনায় অবস্থিত এবং এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট।
ভারতের সেনাবাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ত্রিশক্তি কর্পস এই মহড়ার আয়োজন করে। এই মহড়ায় অত্যাধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার এবং যুদ্ধের কৌশলগত পরীক্ষা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী পিনাকা মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চারসহ একাধিক দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করেছে। পিনাকা লঞ্চার মাত্র ৪৪ সেকেন্ডের মধ্যে ১২টি রকেট উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম এবং এর কার্যক্ষমতা ৪০ থেকে ৭৫ কিলোমিটারের মধ্যে বিস্তৃত।

এই মহড়ার মূল লক্ষ্য ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া এবং সক্ষমতা পরীক্ষা করা। ভারতীয় সেনার এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, “ত্রিশক্তি কর্পস সফলভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া করেছে, যেখানে যুদ্ধ প্রস্তুতি, দ্রুত মোতায়েন, এবং আক্রমণের ক্ষমতা প্রদর্শন করা হয়েছে।” ৩৩ কর্পসের সদর দফতর পশ্চিমবঙ্গের সুকনায় অবস্থিত, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই মহড়া ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষত, সিকিমের উঁচু পার্বত্য উপত্যকায় প্রতিকূল পরিবেশে যুদ্ধের প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত, তা যাচাই করতেই এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিবাদ রয়েছে, যা বিভিন্ন সময়ে সামরিক উত্তেজনার রূপ নিয়েছে। যদিও দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি রয়েছে, তবুও প্রতিরক্ষার প্রশ্নে কোনো খামতি রাখা চলবে না।

ভারতের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য শুধু আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের ওপর নির্ভর করাই যথেষ্ট নয়, বরং সেনাদের কঠোর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। এই মহড়ার মাধ্যমে ভারতীয় সেনারা যুদ্ধের কৌশল আরও ভালোভাবে আত্মস্থ করতে পারবে এবং যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকবে।

উত্তর সীমান্তে ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তি জোরদার করার জন্য একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনা প্রতিনিয়ত তাদের যুদ্ধ কৌশল উন্নত করছে এবং আধুনিক অস্ত্র ও প্রযুক্তির সাহায্যে নিজেদের শক্তিশালী করে তুলছে।

ভারত এখন স্বদেশী প্রতিরক্ষা উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছে এবং আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত অস্ত্র ও সরঞ্জাম ব্যবহারের দিকে এগোচ্ছে। এই মহড়াও সেই পরিকল্পনারই একটি অংশ। দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের ফলে প্রতিরক্ষার খরচ কমবে এবং দেশের প্রতিরক্ষা শক্তিও আরও দৃঢ় হবে।

ভারত যেখানে নিজের প্রতিরক্ষা শক্তিকে জোরদার করছে, ঠিক তেমনই চিনও সীমান্ত এলাকায় নিজেদের কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করতে মরিয়া। সীমান্তের ওপারে চিন ক্রমাগত নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করছে এবং নিজেদের সেনাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। চিনের এই কর্মকাণ্ড সীমান্তের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

ভারতও এই পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর নিয়মিত মহড়া, প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের আধুনিকীকরণ, এবং যুদ্ধ কৌশলের উন্নয়ন এই পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ত্রিশক্ত কর্পস

ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তিকে আরও উন্নত করার জন্য এই ধরনের মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিকিমের পার্বত্য অঞ্চলে এই মহড়ার মাধ্যমে ভারতীয় সেনার সক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তারা প্রতিকূল পরিবেশে যুদ্ধের জন্য কতটা প্রস্তুত, তা স্পষ্ট হয়েছে।

ত্রিশক্তি কর্পসের এই মহড়া শুধু ভারতীয় সেনার শক্তি প্রদর্শনের একটি অংশ নয়, বরং এটি ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সীমান্ত রক্ষার ক্ষেত্রে এই ধরনের মহড়া নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি, যাতে ভারত যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়ছে। গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে ভারত তার প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানোর জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এই মহড়া সেই উদ্যোগেরই একটি অংশ।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সিকিমের উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিকূল পরিবেশে যুদ্ধের প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত, তা যাচাই করতেই এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কিভাবে দ্রুত সেনা মোতায়েন করতে হবে এবং আগ্নেয়াস্ত্র পরিচালনা করতে হবে, তারও অনুশীলন করা হয়।
ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “এই ধরনের মহড়া ভারতীয় সেনার প্রস্তুতিকে আরও নিখুঁত করে তোলে এবং ভবিষ্যতে সীমান্তের যে কোনো হুমকির মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।”

ভারত উত্তর সীমান্তে সেনার শক্তি বৃদ্ধি করছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রের ব্যবহার ও সামরিক প্রশিক্ষণ এখন প্রতিরক্ষার মূল লক্ষ্য। ভারত সরকার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের ওপর জোর দিচ্ছে।

ভারতীয় সেনার এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা দেশীয় প্রযুক্তির ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি, যাতে নিজেদের অস্ত্রের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হতে পারি। পিনাকার মতো অস্ত্র এই প্রক্রিয়ারই অংশ।”

ভারত যেখানে প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াচ্ছে, চিনও ঠিক তেমনই সীমান্ত এলাকায় নিজেদের সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। চিন সীমান্তে ক্রমাগত অবকাঠামো নির্মাণ করছে, যা কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

সেনা সূত্রে খবর, ভারতীয় সেনা সীমান্তের ওপারে চিনা সেনার গতিবিধির ওপর নজর রাখছে এবং যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, “ভারতের এই মহড়া চিনের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা, যাতে তারা বুঝতে পারে যে ভারতীয় সেনা সর্বদা প্রস্তুত।”

ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তিকে আরও উন্নত করতে এই ধরনের মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মহড়ার মাধ্যমে সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতা যাচাই করেছে। ভারত যে আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত, এই মহড়া তারই প্রমাণ।

সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ এবং যুদ্ধ কৌশল উন্নয়নের সঙ্গে ভারত নিজেকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। এই মহড়া শুধুমাত্র একটি সামরিক অনুশীলন নয়, বরং সীমান্তে ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তির দৃঢ় অবস্থানের প্রতিফলন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *