বোলপুর শান্তিনিকেতন মানেই মাটির টান! শান্তিনিকেতনের এই ১০টি স্থান মিস করবেন না!

Spread the love

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের নিকটে অবস্থিত শান্তিনিকেতন কেবল একটি স্থান নয়, এটি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার এক অনন্য পীঠস্থান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে শান্তিনিকেতন যে রূপ লাভ করেছে, তা আজ বিশ্বব্যাপী একটি অনন্য পরিচিতি বহন করে। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাধনায় শুরু হয়েছিল যে যাত্রা, তার বিবর্তন রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতার আলোয় নতুন মাত্রা পায়।

শান্তিনিকেতনের ইতিহাসের সূচনা হয় ১৮৬৩ সালে, যখন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বোলপুর অঞ্চলে ছাতিমগাছের ছায়ায় এক অপার্থিব শান্তি অনুভব করেন। সেই অভিজ্ঞতা তাঁকে এতটাই প্রভাবিত করে যে তিনি এখানে জমি কিনে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। মূলত এই আশ্রম ছিল একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র, যেখানে উপাসনা ও ধ্যানের মাধ্যমে আত্মার শুদ্ধি লাভের চেষ্টা করা হতো। এই স্থানটি তখন “ভ্রাম্যমাণ মন্দির” নামে পরিচিতি পায়। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই অঞ্চলে একটি ছোট উপাসনাগৃহ নির্মাণ করেন, যা আজ কাচের মন্দির নামে পরিচিত।

তবে শান্তিনিকেতন সত্যিকার অর্থে একটি নতুন রূপ লাভ করে ১৯০১ সালে, যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর ধারণা ছিল, প্রকৃতির কোলেই হওয়া উচিত শিক্ষার প্রকৃত সাধনা। গাছপালার নিচে, খোলা আকাশের তলায় পড়াশোনার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা এবং মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধ জাগ্রত হবে। ব্রহ্মচর্যাশ্রম ছিল এই শিক্ষাদর্শনেরই প্রতীক।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ভাবনার বিস্তার ঘটান ১৯২১ সালে, যখন তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল একটি শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলা, যা বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং জ্ঞানকে একত্রিত করবে। বিশ্বভারতীর নীতিবাক্য ছিল: “যত বিশ্ব জগৎ, তত ভারত”। এখানে শিক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মনের দ্বার উন্মুক্ত করার চেষ্টা করা হতো, যাতে তারা বিশ্ব নাগরিক হয়ে উঠতে পারে।

বিশ্বভারতীতে কেবল একাডেমিক শিক্ষাই নয়, শিল্প, সঙ্গীত, এবং নাটকের মধ্য দিয়েও শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ দেওয়া হয়। কলাভবন, সঙ্গীত ভবন, এবং নাট্য ভবন এর উল্লেখযোগ্য অংশ। রামকিঙ্কর বেইজ, নন্দলাল বসু, এবং বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা এখানকার কলাভবনে তাঁদের সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে শান্তিনিকেতনের পরিচিতিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন।

উৎসব ও অনুষ্ঠান: সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনকে জীবন্ত করে তোলার জন্য বিভিন্ন উৎসবের প্রচলন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

পৌষ মেলা: প্রতিবছর পৌষ মাসে আয়োজিত এই মেলা কেবল স্থানীয় উৎসব নয়, এটি বিশ্বজনীন সংস্কৃতির মিলনস্থল।
বসন্তোৎসব: দোলযাত্রার সময় বসন্তের রঙে মেতে ওঠে শান্তিনিকেতন। নাচ, গান এবং উজ্জ্বল রঙের পুষ্পবর্ষণ এই উৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
মাগোৎসব: ব্রাহ্ম সমাজের বিশেষ দিন উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান প্রার্থনা এবং সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়।
শান্তিনিকেতন এবং সাহিত্য
শান্তিনিকেতন কেবল শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, সাহিত্য এবং সৃজনশীলতার ক্ষেত্রেও এক বিশেষ স্থান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর অনেক বিখ্যাত রচনা এই স্থানেই লিখেছেন। তাঁর উপন্যাস “ঘরে বাইরে,” “গোরা”, এবং কবিতা “গীতাঞ্জলি” শান্তিনিকেতনের পরিবেশে রচিত হয়েছিল। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নির্জনতা তাঁর সাহিত্য এবং সঙ্গীতের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলে।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে শান্তিনিকেতন

ভারতের স্বাধীনতার পরে শান্তিনিকেতন একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি এখনও দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, আধুনিক সময়ের চাহিদা এবং পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য শান্তিনিকেতন কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।

শিক্ষার পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন এলেও রবীন্দ্রনাথের মূল আদর্শ আজও এখানে বজায় রয়েছে। বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবন, কলাভবন, এবং শিক্ষাভবন এখনও সৃজনশীলতার কেন্দ্রস্থল।

পর্যটকদের জন্য শান্তিনিকেতন


আজকের দিনে শান্তিনিকেতন কেবল শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, এটি পর্যটকদের কাছেও একটি আকর্ষণীয় স্থান। এখানে কাচের মন্দির, ছাতিমতলা, উত্তরায়ণ কমপ্লেক্স, এবং কলাভবনের শিল্পকর্ম পর্যটকদের মুগ্ধ করে। পর্যটকেরা পৌষ মেলা এবং বসন্তোৎসবে অংশ নিয়ে এখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম হতে পারেন।

রবীন্দ্রনাথের সময়ে শান্তিনিকেতন কেবল একটি শিক্ষাকেন্দ্র ছিল না; এটি হয়ে উঠেছিল সংস্কৃতি, শিল্প এবং চিন্তাধারার এক মিলনস্থল। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিক্ষা হবে সার্বিক, যেখানে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি মানুষের মন ও মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটবে। এই আদর্শ থেকেই জন্ম নেয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল ভারত ও বিশ্বের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের এক সেতুবন্ধন। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীর জন্য একটি দর্শন তৈরি করেছিলেন: “যেখানে বিশ্বের প্রতিটি সংস্কৃতি একত্রিত হবে এবং একে অপরকে সম্পূর্ণ করবে।”

শান্তিনিকেতনকে রবীন্দ্রনাথ একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছিলেন। এখানে প্রতিষ্ঠিত হয় শিল্পকলার কেন্দ্র কলাভবন, যেখানে রামকিঙ্কর বেইজ, বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় এবং নন্দলাল বসুর মতো শিল্পীরা তাঁদের অমর সৃষ্টি করেছিলেন। সঙ্গীত ভবন এবং নাট্য ভবনও শান্তিনিকেতনের সাংস্কৃতিক গর্ব। রবীন্দ্রনাথ নিজে শান্তিনিকেতনে বিভিন্ন উৎসবের প্রচলন করেছিলেন, যেমন বসন্তোৎসব, পৌষ মেলা, এবং মাগোৎসব। এই উৎসবগুলো শুধু আনন্দ-উৎসব নয়, বরং মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ এবং ঐক্যের বার্তা বহন করে।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে শান্তিনিকেতন তার গুরুত্ব বজায় রাখলেও অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। বিশ্বভারতী এখন একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় গর্বের প্রতীক। যদিও বিশ্বায়নের হাওয়া এবং আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিযোগিতার কারণে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যিক শিক্ষা ও সংস্কৃতির ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তবুও এটি এখনও তার মূল আদর্শ ধরে রেখেছে।

আজকের শান্তিনিকেতন কেবলমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা পর্যটনকেন্দ্র নয়। এটি ইতিহাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং শিক্ষার এক জীবন্ত দলিল। এখানে ভ্রমণ করলে একজন ব্যক্তি কেবল প্রকৃতির সান্নিধ্যই পান না, বরং অনুভব করেন রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতার অনুপ্রেরণা। শান্তিনিকেতনের প্রতিটি ইট, প্রতিটি গাছ, প্রতিটি কক্ষ যেন রবীন্দ্রনাথের জীবনদর্শন ও সৃষ্টিশীলতার সাক্ষী।

শান্তিনিকেতন আজও তার দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। কাচের মন্দির, ছাতিমতলা, উত্তরায়ণ কমপ্লেক্সের বাড়িগুলি এবং কলাভবনের শিল্পকর্মগুলো সবই ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। রবীন্দ্রনাথের “কবিগুরু” থেকে “গুরুদেব” হয়ে ওঠার এই যাত্রা এখানে এসে আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

শান্তিনিকেতনের বিবর্তনের গল্প এক অনুপ্রেরণার গল্প। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিক ভাবনা থেকে রবীন্দ্রনাথের সার্বজনীনতার ধারণা এবং বিশ্বভারতীর আধুনিক শিক্ষার প্রচেষ্টায় এটি আজও একটি জীবন্ত ইতিহাস। শান্তিনিকেতন শুধু একটি স্থান নয়, এটি একটি অনুভূতি, যা হৃদয়ে ধারণ করলে জীবন হয়ে ওঠে আরও পূর্ণতা এবং শান্তিতে পূর্ণ।

শান্তিনিকেতন, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের নিকট অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থান, যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিশীলতার কেন্দ্রস্থল। এখানে ভ্রমণকারীদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থান, যা তাদের মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা প্রদান করে। নিচে শান্তিনিকেতনের ১০টি বিশেষ দর্শনীয় স্থান নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১. শান্তিনিকেতন ভবন
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬৪ সালে এই ভবনটি নির্মাণ করেন। প্রথমে এটি একতলা ছিল, পরে দোতলা করা হয়। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির আদলে নির্মিত এই ভবনের উপরিভাগে খোদাই করা রয়েছে মহর্ষির প্রিয় উপনিষদের উক্তি ‘সত্যাত্ম প্রাণারামং মন আনন্দং’। কৈশোরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বাড়িতে কিছুদিন বাস করেন। বর্তমানে বাড়িটির সামনে রামকিঙ্কর বেইজ নির্মিত ‘অনির্বাণ শিখা’ নামক একটি বিমূর্ত ভাস্কর্য রয়েছে।

২. ছাতিমতলা
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রায়পুরের জমিদার বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে আসার পথে এই ছাতিমতলায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। এখানেই তিনি প্রানের আরাম, মনের আনন্দ ও আত্মার শান্তি অনুভব করেন। সেই সময় তিনি জমিদারবাবুর কাছ থেকে ২০ বিঘা জমি পাট্টা নেন। বর্তমানে সেখানে একটি বেদি রয়েছে, যেখানে ৭ই পৌষ সকালে উপাসনা হয়।

শান্তিনিকেতন ছাতিমতলা

৩. কাচের মন্দির বা উপাসনাগৃহ
১৮৯২ সালে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র দিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। রঙিন কাঁচ দিয়ে নির্মিত এই মন্দিরটি স্থানীয়দের কাছে ‘কাচের মন্দির’ নামে পরিচিত। এখানে যেকোনো ধর্মের মানুষ বিশেষ সাদা পোশাক পরিধান করে প্রবেশ করতে পারেন।

৪. তালধ্বজ
তালধ্বজ শান্তিনিকেতনের একটি বিশেষ স্থান, যা তার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান।

৫. শ্যামলী
উত্তরায়নের কোনার্কের পূর্বদিকে অবস্থিত মাটির বাড়িটি ‘শ্যামলী’ নামে পরিচিত। বাড়ির দেওয়াল ও ছাদ মাটির তৈরি। কলাভবনের ছাত্রছাত্রীরা শ্যামলীর দেওয়ালে বহু মূর্তি নির্মাণ করেছে। প্রবেশ পথের দু’পাশে রামকিঙ্কর বেইজের তৈরি ‘সাঁওতাল-সাঁওতালনী’ স্থাপত্য রয়েছে। গান্ধীজী, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, বিনোবা ভাবে, মাদার টেরেজা সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই বাড়িতে থেকেছেন।

৬. পুনশ্চ
পুনশ্চ শান্তিনিকেতনের একটি উল্লেখযোগ্য স্থান, যা তার স্থাপত্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান।

৭. উদয়ন
উদয়ন শান্তিনিকেতনের একটি বিশেষ স্থান, যা তার সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান।

৮. কোণার্ক
কোণার্ক শান্তিনিকেতনের একটি উল্লেখযোগ্য স্থান, যা তার স্থাপত্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান।

৯. উদীচী
উদীচী শান্তিনিকেতনের একটি বিশেষ স্থান, যা তার সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান।

১০. চতুরঙ্গ
চতুরঙ্গ শান্তিনিকেতনের একটি উল্লেখযোগ্য স্থান, যা তার সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান।

শান্তিনিকেতন তার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। উপরোক্ত ১০টি স্থান ভ্রমণকারীদের জন্য শান্তিনিকেতনের সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধ ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ প্রদান করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *