বাঙালির জীবনে মিষ্টি এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। উৎসব, অনুষ্ঠান, অতিথি আপ্যায়ন বা রসনার তৃপ্তি—সবকিছুতেই মিষ্টির চাহিদা অপরিসীম। রসগোল্লার বাইরেও বাংলার প্রতিটি অঞ্চলে এমন কিছু বিশেষ মিষ্টি রয়েছে, যা স্বাদে ও ঐতিহ্যে অতুলনীয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিখ্যাত মিষ্টির তালিকা দেখে নিন, যা একবার চেখে দেখলে ভোলা অসম্ভব।
১. বাগবাজারের রসগোল্লা
রসগোল্লা মানেই বাঙালির মিষ্টি প্রেমের শীর্ষবিন্দু। নবীন চন্দ্র দাস ১৮৬৮ সালে কলকাতার বাগবাজারে প্রথম রসগোল্লা তৈরি করেন। ময়দা ও ছানা দিয়ে তৈরি তুলতুলে এই স্পঞ্জ মিষ্টি চিনি রসে ডুবিয়ে পরিবেশন করা হয়। শীতকালে নলেন গুড়ের রসগোল্লা আলাদা মাত্রা যোগ করে। যদিও রসগোল্লার উৎপত্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক রয়েছে, ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ এই মিষ্টির জিআই (জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন) ট্যাগ লাভ করে।
২. বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা
বর্ধমানের দুই জনপ্রিয় মিষ্টি সীতাভোগ ও মিহিদানার ঐতিহ্য বহু প্রাচীন। সীতাভোগ দেখতে অনেকটা বাসমতী চালের ভাতের মতো। এটি ছানা ও গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি হয়। অন্যদিকে মিহিদানা তৈরি হয় গোবিন্দভোগ বা বাসমতী চালের গুঁড়ো, বেসন ও জাফরান দিয়ে।
১৯০৪ সালে লর্ড কার্জনের বর্ধমান ভ্রমণের সময় জমিদার বিজয়চাঁদ মহতাব এই মিষ্টিগুলি তৈরি করিয়েছিলেন। তার পর থেকে এই মিষ্টি বর্ধমানের এক বিশেষ পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৩. শক্তিগড়ের ল্যাংচা
বর্ধমানের শক্তিগড় অঞ্চল ল্যাংচার জন্য বিখ্যাত। ছানা, ময়দা ও খোয়ার মিশ্রণে তৈরি এই লম্বাটে কালচে বাদামি মিষ্টি বিশেষত ডুবো তেলে ভেজে তৈরি হয়। কথিত আছে, এক ল্যাংড়া কারিগর প্রথম এই মিষ্টি তৈরি করেন বলে মিষ্টির নাম হয়েছে ল্যাংচা। শক্তিগড়ের প্রতিটি দোকানে পাওয়া এই মিষ্টি যেকোনো খাদ্যরসিককে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম।
৪. কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া ও সরভাজা
নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া ও সরভাজার খ্যাতি গোটা বাংলায়। দুধের সর, ঘি এবং চিনি দিয়ে তৈরি সরভাজা ও সরপুরিয়া একাধিক স্তরে তৈরি হয়। অধরচন্দ্র দাস নামে এক মিষ্টি প্রস্তুতকারক সরপুরিয়া ও সরভাজার সৃষ্টিকর্তা হিসেবে পরিচিত। দুর্গাপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোয় এই মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে থাকে।
৫. জয়নগরের মোয়া
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের মোয়া শীতকালে এক বিশেষ আকর্ষণ। খেজুর গুড়, কনকচূড় ধানের খই ও গাওয়া ঘি দিয়ে তৈরি এই মিষ্টি বিশেষত পেস্তা ও কিশমিশ দিয়ে সাজানো হয়। স্থানীয় মানুষজনের মতে, এই মোয়া তৈরির বাণিজ্যিকীকরণ করেছিলেন পূর্ণচন্দ্র ঘোষ ও নিত্যগোপাল সরকার।
৬. নবদ্বীপের লাল দই
নবদ্বীপের লাল দই বাংলার এক অমলিন ঐতিহ্য। ভাজা চিনি দিয়ে তৈরি এই দইয়ের রং লালচে হয়। এই দই তৈরির কৃতিত্ব নবদ্বীপের কালিপদ মোদকের। নবদ্বীপের বিখ্যাত ‘লক্ষ্মী নারায়ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’-এর দই খেয়ে পর্যটকরা বারবার মুগ্ধ হন।
৭. রানাঘাটের পান্তুয়া
রানাঘাটের পান্তুয়া মানেই বাঙালির মিষ্টির ভাণ্ডারের এক বিশেষ রত্ন। ছানা, ময়দা, খোয়া ক্ষীর ও গুড় দিয়ে তৈরি এই মিষ্টির বাইরের স্তরটি মচমচে হলেও ভিতরটা থাকে নরম। রানাঘাটের যজ্ঞেশ্বর প্রামাণিক ওরফে জগু ময়রার নামের সঙ্গে এই পান্তুয়ার ইতিহাস জড়িয়ে। রানাঘাটের দোকানগুলোতে এই মিষ্টি এখনও সমান জনপ্রিয়।
৮. মালদহের রসকদম্ব
মালদহের রসকদম্ব একটি অভিনব মিষ্টি। এর ভেতরে থাকে একটি ছোট রসগোল্লা এবং বাইরে ক্ষীরের আস্তরণ। তার ওপর ছড়িয়ে দেওয়া হয় পোস্ত দানা। দেখতে অনেকটা কদম ফুলের মতো বলে এর নাম হয়েছে রসকদম্ব। কথিত আছে, চৈতন্যদেবের মালদহ ভ্রমণের স্মরণে এই মিষ্টি তৈরি হয়েছিল।

৯. মানকরের কদমা
পূর্ব বর্ধমানের মানকরের কদমা এক ঐতিহ্যবাহী শুকনো মিষ্টি। বাতাসা ও নকুলদানার মতো কদমা বহু পুরনো মিষ্টির মধ্যে অন্যতম। বিশেষত পূজার কাজে এখনও কদমার ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
১০. সিউড়ীর মোরব্বা
বীরভূম জেলার সিউড়ী অঞ্চলে তৈরি মোরব্বা একটি অনন্য মিষ্টি। পেপে, কুমড়ো কিংবা শতমূলীকে ঘন চিনির রসে জারিত করে এই মিষ্টি তৈরি হয়। এটি শুধুমাত্র স্থানীয় বাজারেই নয়, পর্যটকদের মধ্যেও জনপ্রিয়।
১১. রামপুরহাটের রসমালাই
রসমালাইয়ের উৎপত্তি বাংলাতেই। ছোট আকারের রসগোল্লার সঙ্গে ঘন মিষ্টি দুধ মিশিয়ে তৈরি হয় এই জনপ্রিয় মিষ্টি। বীরভূমের রামপুরহাটে তৈরি রসমালাই স্বাদে অতুলনীয়।
১২. শান্তিপুরের নিখুঁতি
নদীয়ার শান্তিপুরে নিখুঁতি একটি বিশেষ মিষ্টি। এটি ল্যাংচার মতো দেখতে হলেও বাইরেটা মচমচে ও ভিতরটা তুলতুলে নরম। পরিবেশনের সময় এর ওপর সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়ানো হয়। নিখুঁতির পায়েসও অত্যন্ত জনপ্রিয়।
১৩. অগ্রদ্বীপের ছানার জিলিপি
বর্ধমান জেলার কাটোয়ার অগ্রদ্বীপে তৈরি ছানার জিলিপি এক বিশেষ মিষ্টি। ছানাকে মোটা করে বেঁধে জিলিপির আকারে ভেজে চিনির রসে ডোবানো হয়। কলকাতার ভূপতি রায়ের দোকানের ছানার জিলিপি একসময় বেশ বিখ্যাত ছিল।
১৪. বর্ধমানের দরবেশ
দরবেশ একটি বোঁদে থেকে তৈরি লাড্ডু। তিন রঙের বোঁদে দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি দেখতে সুন্দর। বর্তমানে লাল ও হলুদ রঙের বোঁদে দিয়েই দরবেশ তৈরি হয়। এর বিশেষত্ব এর সুগন্ধি এবং স্নিগ্ধ স্বাদে।
১৫. মেদিনীপুরের মেচেদার ছানার জিলিপি
পশ্চিম মেদিনীপুরের মেচেদা অঞ্চলের ছানার জিলিপি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। এর স্বাদ ও ঘ্রাণ বাঙালির মন জয় করেছে। নদীয়া অঞ্চলের সঙ্গে এর প্রতিযোগিতার গল্পও শোনা যায়।
১৬. মালদহের কানসাট
মালদহের আম যেমন বিখ্যাত, তেমনি এই জেলার পরিচিতি মিষ্টির দিক থেকেও। কানসাট নামের এই মিষ্টি আসলে বাংলাদেশের শিবগঞ্জ থেকে উঠে আসা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর মহেন্দ্রনাথ সাহার পুত্র বিজয় কুমার সাহা এই মিষ্টি নিয়ে মালদহে পাড়ি জমান। কানসাটের প্রধান উপাদান ক্ষীর, তবে এর স্বাদ নির্ভর করে সঠিকভাবে ছানা এবং ক্ষীর প্রস্তুত করার উপর। এই মিষ্টির স্বাদ একবার গ্রহণ করলে তা ভুলে যাওয়া কঠিন।
১৭. বেলিয়াতোড়ের মেচা সন্দেশ, বাঁকুড়া
তিনশো বছরের পুরনো ইতিহাসের সাক্ষী বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের মেচা সন্দেশ। মুগডাল আর চিনির মিশ্রণে তৈরি এই মিষ্টি মল্লরাজাদের আমল থেকেই জনপ্রিয়। দেখতে এটি অনেকটা মনোহরার মতো হলেও এর স্বাদ একেবারেই আলাদা। আজকাল এর জনপ্রিয়তা কিছুটা কমলেও বেলিয়াতোড়ে গেলে অবশ্যই মেচা সন্দেশ চেখে দেখা উচিত।
১৮. বহরমপুরের ছানাবড়া, মুর্শিদাবাদ
মুর্শিদাবাদের লালবাগের ছানাবড়া প্রায় ২০০ বছরের পুরনো মিষ্টি। নবাবের অতিথি আপ্যায়নের জন্য রূপোর থালায় সাজানো ছানাবড়া পরিবেশন করা হত। এটি তৈরি হয় ছানাকে ঘিয়ে ভেজে। কাশিমবাজারের মহারাজা ইংরেজদের সন্তুষ্ট করতে নতুন মিষ্টি আবিষ্কারের আদেশ দেন, তখনই তৈরি হয় এই ছানাবড়া।

১৯. জনাইয়ের মনোহরা, হুগলী
মনোহরা সন্দেশের জন্ম হুগলীর জনাইয়ে। নরমপাক সন্দেশকে চিনি দিয়ে মোড়ানো হয় যাতে এটি দীর্ঘদিন ভালো থাকে। কথিত আছে, জনাইয়ের এক জমিদার সফরে বেরিয়ে নরম সন্দেশ খেতে চেয়েছিলেন। তখনই কারিগরেরা এই মনোহরা তৈরি করেন। পরবর্তীতে কলকাতার মিষ্টি প্রস্তুতকারকরা এতে নলেন গুড়ের প্রলেপ দিয়ে নতুনত্ব আনেন।
কামারপুকুরের সাদা বোঁদে, হুগলী
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের প্রিয় মিষ্টি কামারপুকুরের সাদা বোঁদে। এটি তৈরি হয় রমা কলাইয়ের বেসন, আতপ চালের গুঁড়ো এবং ঘি দিয়ে। এই মিষ্টির স্বাদ এবং ঐতিহ্য একে বাংলার অন্যতম পরিচিত মিষ্টিতে পরিণত করেছে।
গুপ্তিপাড়ার গুপো সন্দেশ
গুপো সন্দেশ বাংলার প্রথম ব্র্যান্ডেড মিষ্টি হিসেবে বিবেচিত। এটি তৈরি হয় গুপ্তিপাড়ায়, যেখানে মাখা সন্দেশকে আকার দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। কলকাতার অভিজাতরা উৎসবে এই সন্দেশ আনতে গুপ্তিপাড়ায় ছুটে যেতেন।
চন্দননগরের জলভরা
হুগলীর চন্দননগরের জলভরা সন্দেশ তালশাঁসের মতো দেখতে। সূর্য মোদকের আবিষ্কৃত এই মিষ্টি গোলাপজল এবং নলেন গুড় দিয়ে প্রস্তুত। এটি চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
কাঁথীর কাজুবরফি, পূর্ব মেদিনীপুর
প্রায় ৮৫ বছর আগে কাঁথীতে কাজুবরফি প্রথম তৈরি হয়। কাজুবাদামের মিশ্রণে তৈরি এই মিষ্টি এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। টোকিও, নিউ ইয়র্ক, প্যারিসের মতো শহরেও এটি রপ্তানি হয়। এর স্বাদই একে অনন্য করে তুলেছে।
কেশপুরের মুগের জিলিপি
মুগডালের জিলিপি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ও ডেবরার প্রসিদ্ধ মিষ্টি। এটি সাধারণ জিলিপি থেকে আলাদা। মুগডালের জন্য এর স্বাদ অন্য স্তরে চলে যায়।
ক্ষীরপাইয়ের বাবরসা
পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাইয়ের বাবরসা এক ঐতিহাসিক মিষ্টি। বর্গি আক্রমণের সময় এডওয়ার্ড বাবরশ নামে এক সাহেবের নামে এই মিষ্টি তৈরি হয়। এটি খেতে হলে রসে ডুবিয়ে পরিবেশন করতে হয়।
বেলাকোবার চমচম
জলপাইগুড়ির বেলাকোবার চমচম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। এটি পোড়াবাড়ির চমচমের ঘরানার হলেও স্বাদে খানিকটা আলাদা। এতে কড়া পাকের সঙ্গে ক্ষীরের দানার উপস্থিতি এক ভিন্নতর অভিজ্ঞতা দেয়।
ছাতনার প্যাড়া
বাঁকুড়ার ছাতনার প্যাড়া শত বছরের ঐতিহ্য বহন করছে। এটি দেবতার আরাধনায় ব্যবহার হতো। মিষ্টির ঘন ক্ষীর ও চিনি একে অতুলনীয় করে তুলেছে।
প্রেমের ডাঙ্গার মণ্ডা-মিঠাই
কোচবিহারের প্রেমের ডাঙ্গা অঞ্চলের মণ্ডা-মিঠাই বাংলার এক অতি জনপ্রিয় মিষ্টি। এটি শক্ত মণ্ডাকৃতির মিষ্টি, যা ক্ষীর দিয়ে তৈরি।
লালমোহন, ফুলবাড়ি
শিলিগুড়ির ফুলবাড়ির লালমোহন (গোলাপজাম) বাংলাদেশের মনীন্দ্র মোহন ঘোষের হাত ধরে তৈরি। এটি রসগোল্লার মতো হলেও আলাদা বৈশিষ্ট্য রাখে।
কমলাভোগ, মাদারিহাট
রসগোল্লার বড় সংস্করণ কমলাভোগ তৈরি হয় কমলালেবুর রসে। ডুয়ার্স এবং তরাই অঞ্চলের এই মিষ্টি ফলের সঙ্গে ছানার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে তৈরি হয়।
মতিচুরের লাড্ডু, বিষ্ণুপুর
বিষ্ণুপুরের মতিচুরের লাড্ডু এক প্রাচীন মিষ্টি। ছোট মুক্তার মতো দানায় তৈরি এই মিষ্টি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের আমল থেকে শুরু হয়ে আজও সমান জনপ্রিয়।
কাশিপুরের কাস্তার লাড্ডু
পুরুলিয়ার কাশিপুরে তৈরি কাস্তার লাড্ডু এক ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। পঞ্চকোট রাজ্যের রাজাদের জন্য তৈরি এই লাড্ডু গাওয়া ঘিয়ের গন্ধে ভরপুর।
বাংলার প্রতিটি মিষ্টির পেছনে লুকিয়ে আছে একেকটি ঐতিহাসিক কাহিনী। এগুলো কেবল খাদ্য নয়, বরং বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতীক। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিরা আজও এই মিষ্টির স্বাদে নিজেদের শেকড়ের সাথে যুক্ত থাকতে পারেন। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে মিষ্টির নির্মাতারা যেন সবসময় এই বিশেষ স্বাদ এবং কাহিনীকে জীবন্ত রাখতে পারেন।
বাংলার প্রতিটি কোণায় মিষ্টির যে বৈচিত্র্য দেখা যায়, তা এই অঞ্চলের সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ। প্রতিটি মিষ্টির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঐতিহ্যের গল্প। তাই বাংলার মিষ্টির স্বাদ নিতে হলে ঘুরতে হবে জেলায় জেলায়। এই মিষ্টি শুধু খাবার নয়, প্রতিটি মিষ্টি বাংলার আত্মপরিচয়ের অন্যতম প্রতীক।