রাজ্যে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হতে পারে পুজোর পরপরই। তার আগে মমতা সাংগঠনিক স্তরে সক্রিয়তা চাইছেন বলে ধারণা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের।
উৎসব মিটলেই তৃণমূল কংগ্রেসকে পূর্ণশক্তিতে পথে নামাতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে আসা দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সোমবার এই বার্তা দিয়েছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, আর জি কর হাসপাতাল ঘিরে সরকার-বিরোধী প্রচারের মোকাবিলায় পাল্টা প্রচার চালিয়ে যাওয়ার কথাই বলছেন তৃণমূল নেত্রী।
এ বারেও দশমীর পরে দলের নেতা, মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানেই বিভিন্ন জেলার দলীয় সভাপতি ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে স্থানীয় সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি। কোথায় কী করণীয়, তা নিয়ে কথাবার্তার মধ্যেই তিনি উৎসব শেষে সকলকে পূর্ণোদ্যমে ‘নেমে পড়ার’ নির্দেশ দিয়েছেন। দলীয় নেতারা মনে করছেন, তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে যে সব প্রশ্ন উঠেছে, তার জবাব দিতেই মুখ্যমন্ত্রী মাঠে নামার কথা বলেছেন। রেড রোডে আজ, মঙ্গলবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুর্গোৎসবের ‘কার্নিভাল’ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেখানে যাঁরা আসবেন, তাঁদেরও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হতে পারে পুজোর পরপরই। তার আগে মমতা সাংগঠনিক স্তরে সক্রিয়তা চাইছেন বলে ধারণা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের। কালীঘাটে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, শশী পাঁজা সহ অনেকে।
মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বার ভিড় ছিল কম। দলের অনেকের মতে, বেশ কিছু জেলায় এ বার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেছে। তা ছাড়া, বহু জেলায় এ দিনই ‘কার্নিভাল’ শুরু হয়ে গিয়েছে। সে সব জেলার নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা এ দিন কালীঘাটে আসতে পারেননি। তবে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আসা মানুষের সঙ্গেও দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কালীঘাটে বিজয়ীর শুভেচ্ছা বিনিময়ে হাজির ছিলেন সরকারি আধিকারিকেরাও। তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনিক বিষয় নিয়েও কয়েক দফায় কথা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।