একের পরে এক হিট ‘আইটেম নাচ’ রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু বলিউডে নিজের পাকাপাকি জায়গা তৈরি করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল নোরা ফতেহিকে। পর পর বেশ কিছু কাজ থেকে প্রত্যাখ্যান পেয়েছিলেন তিনি। ভেঙে পড়েছিলেন নোরা। যার ফলে মানসিক স্বাস্থ্যও ব্যাহত হয়েছিল।মুম্বইয়ে গিয়ে এমন অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে যাঁরা কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁদের উদ্দেশ্য আসলে মোটেই সৎ ছিল না। বড় প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যোগ স্থাপন করিয়ে দেবে বলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে, জানিয়েছেন নোরা।একটা সময় নোরার মনে হয়েছিল, অভিনয় জগতে কিছু করে উঠতে না পারলে বাড়ি ফিরে ফের কলেজে ভর্তি হবেন। নোরা বলেন, “আমাকে মনোবিদের সাহায্য নিতে হয়েছিল। একের পরে এক কাজ থেকে প্রত্যাখ্যান পেয়েছিলাম। কেউ বলেছিল, আমি যথেষ্ট যোগ্য নই। কেউ বলেছিল, আমি নাকি পরবর্তী ক্যাটরিনা কইফ হতে চাই। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হয়েছিল।”বহু মানুষকে বিশ্বাস করে প্রতারিত হয়েছিলেন নোরা। যশরাজের ছবির জন্য অডিশন দিয়ে প্রত্যাখ্যান পেয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনার পরে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন, নিজের মোবাইল ফোন ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিলেন।অডিশন দেওয়ার পরে বেশ সন্তুষ্টই ছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, “আমি দারুণ অভিনয় করেছি। আমি কাজটা পাবই।” কিন্তু সেই আশা মোটেই পূরণ হয়নি। উল্টে, অভিনয়ের জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন। যশরাজের পক্ষ থেকে জানতে পেরেছিলেন, “নোরা মোটেই ভাল অডিশন দেয়নি।” নোরা ফতেহি বলেছিলেন, “এটা শুনে আমি ভেঙে পড়েছিলাম। মনে আছে, নিজের মোবাইল ফোনটা ভেঙে ফেলেছিলাম। এত রাগ হয়েছিল, ফোন ভেঙে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিলাম।”২২ বছর বয়সে ভারতে আসেন অভিনেত্রী। উদ্দেশ্য ছিল, মুম্বইয়ের অভিনয় জগতে জায়গা করে নেবেন। ২০১৪ সালে ‘রোর: টাইগার অফ সুন্দরবনস’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেছিলেন নোরা।