বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার ফোনে কথা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার। সেখানে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষত হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা যাতে সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়েও দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথা হয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যৌথভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন’ দুই রাষ্ট্রনেতা। বাংলাদেশের ‘আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার উপরে’ জোর দিয়েছেন তাঁরা। বিশেষত হিন্দুদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করার উপরে দুই রাষ্ট্রনেতা জোর দিয়েছেন বলে নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়েছে তাঁদের।
ইউক্রেন নিয়ে কী কথা হয়েছে মোদী ও বাইডেনের?
গত সপ্তাহে ছয় ঘণ্টার জন্য ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে যান মোদী। সেই ঝটিকা সফরে রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতে ইতি টানার জন্য আলোচনার টেবিলে বসার পরামর্শ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আর্জি জানান যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি যেন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তবেই দু’দেশের মধ্যে সংঘাতে ইতি টানা যাবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেই ঝটিকা কিয়েভ সফরের পরে সোমবার মোদী এবং বাইডেনের মধ্যে প্রথমবার কথা হয়েছে। স্বভাবতই সেই কথোপকথনে ইউক্রেনের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। যাঁরা আদতে এক মাসেরও বেশি সময় পরে কথা বললেন। সোমবারের আগে তাঁদের মধ্যে যখন কথা হয়েছিল, তখন ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে ছিলেন বাইডেন। তারপর তিনি সেই লড়াই থেকে আসেন। এখন লড়াই করছেন কমলা হ্যারিস।
নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে যে কিয়েভ সফর নিয়ে বাইডেনকে বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন মোদী। ভারত যে প্রথম থেকেই আলোচনার মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতে ইতি টানার পক্ষে যে সওয়াল করে আসছে, সেটা আরও একবার বাইডেনকে জানিয়ে দেন। দ্রুত যাতে শান্তি ফেরে, সেজন্য ভারত সবরকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত করতে বলেও জানিয়েছেন মোদী। যিনি আগামী সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় যাবেন। যোগ দেবেন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায়।