বর্ধমানের টাউন ক্লাবের ভিতরে তৃণমূলের শিক্ষক দিবসের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কয়েক জন চিকিৎসকদের ক্লিনিক বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাতে রাজি হননি।
বর্ধমানের টাউন ক্লাবের ভিতরে তৃণমূলের শিক্ষক দিবসের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কয়েক জন চিকিৎসকদের ক্লিনিক বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাতে রাজি হননি।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এই পরিস্থিতিতে রোগীদের সুরাহা দিতে বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমানের টাউন হলের মাঠে ‘অভয়া ক্লিনিক’ চালু করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ঘটনাচক্রে, ওই সময়েই টাউন ক্লাবের ভিতরে তৃণমূলের শিক্ষক দিবসের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কয়েক জন চিকিৎসকদের ক্লিনিক বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাতে রাজি হননি।
পরে ঘটনাস্থলে যান বর্ধমানের পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার। তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে মাইক বন্ধ রাখার আর্জি জানান। পুরপ্রধানের আর্জিতে মাইক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। এই প্রসঙ্গে পুরপ্রধান বলেন, “টাউন ক্লাবের ভিতরে যাঁরা অনুষ্ঠান করছিলেন, তাঁরা আমার কাছে অভিযোগ জানান। চিকিৎসকদের তরফে তাঁদের কর্মসূচির বিষয়ে পুরসভাকে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা পুরসভার কাছে আগাম অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “চিকিৎসকদের কাজে আমরা বাধা দিতে পারি না। তাই মাইক বন্ধের আর্জি নিয়ে তাঁদের কাছে গিয়েছিলাম। চিকিৎসকেরা তাতে সম্মত হন।”
অন্য দিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “গরিব, মুমূর্ষু মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার চেয়ে একটি রাজনৈতিক দলের শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান কি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সব বাধা এড়িয়েই আমাদের অভয়া ক্লিনিক চলবে।”