চলতি বছরে আইআইটি কানপুরে এটি চতুর্থ ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা। ছাত্রীর নাম প্রগতি খারিয়া (২৮)। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের সানিগাওয়ানের বাসিন্দা তিনি। আইআইটি কানপুরে আর্থ সায়েন্স বিভাগে পিএইচডি করছিলেন প্রগতি।
ফের পড়ুয়ার মৃত্যু আইআইটিতে। বৃহস্পতিবার হস্টেলের ঘরে মিলল গবেষক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে আইআইটি কানপুরে। বিগত এক বছরে আইআইটি কানপুরে চতুর্থ ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা এটি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ছাত্রীর নাম প্রগতি খারিয়া (২৮)। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের সানিগাওয়ানের বাসিন্দা তিনি। আইআইটি কানপুরে আর্থ সায়েন্স বিভাগে পিএইচডি করছিলেন প্রগতি। বৃহস্পতিবার দুপুরে হস্টেলের ৪ নং হলে তাঁর নিজের ঘর থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বার বার ডেকেও সাড়া না পেয়ে ছাত্রীর সহপাঠীরা কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। শুরু হয় ডাকাডাকি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। শেষ পর্যন্ত দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায়, সিলিং ফ্যান থেকে তাঁর দেহটি ঝুলছে। কানপুর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (পশ্চিম) রাজেশ কুমার সিংহও সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে দেহটি বার করা হয়। ওই ছাত্রী আত্মহত্যাই করেছেন বলে অনুমান পুলিশের। ঘর থেকে মিলেছে একটি মোবাইল ফোন। মিলেছে সুইসাইড নোটও। ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কেন ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করলেন, তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানে পৌঁছেছে প্রগতির পরিবার। গবেষক ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন আইআইটি কানপুর কর্তৃপক্ষও। বৃহস্পতিবারই প্রতিষ্ঠানের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ছাত্রীর অকালমৃত্যুতে তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছেন আইআইটি কানপুর কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে আইআইটি কানপুরে এটি চতুর্থ পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনা। গত জানুয়ারি মাসে হস্টেল থেকেই আরও এক পিএইচডি ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তার মাত্র দিন কয়েক আগেই আত্মহত্যা করেন স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের আর এক ছাত্র। তারও আগে, গত ১৯ ডিসেম্বর হস্টেলের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন আর এক গবেষক ছাত্রী।