‘উড়োচিঠি’ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জলকুমার শর্মার জানিয়েছেন, এই ধরনের একটি তথ্য এসে পৌঁছলেও প্রেরকের হদিস মেলেনি। তবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
জঙ্গিদের নিশানায় উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা? সম্প্রতি এমনই আশঙ্কা নিয়ে একটি ‘উড়ো তথ্য’ এসেছে রেল পুলিশের কাছে। সেই তথ্য কে পাঠিয়েছেন, তাঁর কোনও হদিশ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। তবে প্রস্তুত থাকছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। নাশকতার পরিস্থিতি তৈরি হলে, তা মোকাবিলা করতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে নড়চড়ে বসেছে কেন্দ্রও। তাদের তরফে এমন একটি সতর্কতামূলক চিঠিও পাঠানো হয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলকে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, অসমর্থিত সূত্র থেকে জানা গিয়েছে উত্তরবঙ্গে রেলের পরিকাঠামোয় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় রেল লাইনে জিআরপির সঙ্গে আরপিএফের যৌথ নজরদারি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ও ট্রেনগুলিতে প্রশিক্ষণপ্রান্ত কুকুর দিয়ে তল্লাশি চালানোর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেক স্টেশন মাস্টারকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জলকুমার শর্মার সঙ্গে। ‘উড়োচিঠি’ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের একটি তথ্য এসে পৌঁছলেও প্রেরকের হদিস মেলেনি। তবে বিষয়টিকে যে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, সেটিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
কপিঞ্জলকুমার বলেন, “এটিকে এ ভাবে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। উত্তরবঙ্গের স্টেশনগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাট করে তোলা হচ্ছে। আরপিএফ কর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ডগ স্কোয়াডকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। ট্রেনগুলিতে তল্লাশি চলছে। তবে কে ওই তথ্য পাঠিয়েছেন, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি।”
নাশকতার আশঙ্কা নিয়ে এই উড়ো তথ্যের বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল শিলিগুড়ি জিআরপির সুপার এস সিলভামুরগানের সঙ্গেও। তিনিও জানান, এই ধরনের একটি তথ্য এসেছে তাঁদের কাছে। তবে অযথা উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। রেল পুলিশের সুপার আরও বলেন, “যথেষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা তল্লাশি চালাচ্ছি।’’