বিজেপি বিধায়ক সুরেশ্বর সিংহ গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে নেকড়ের খোঁজে নামেন সোমবার রাতে। বন্দুক তাক করে একের পর এক আখ ক্ষেতে তল্লাশি চালান।
প্রায় এক মাস হতে চলল, এখনও অধরা বহরাইচের সেই মানুষখেকো নেকড়ে। কিছুতেই সেটিকে বাগে আনতে পারছে না বন দফতর। তার মধ্যে একের পর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে উত্তরপ্রদেশের ওই জেলার গ্রামগুলিতে। সেই সঙ্গে আতঙ্কও বাড়ছে। পরিস্থিতি সামলাতে এ বার খোদ বিজেপি বিধায়কই বন্দুক হাতে নেকড়ের তল্লাশিতে নেমে পড়লেন।
বিজেপি বিধায়ক সুরেশ্বর সিংহ গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে নেকড়ের খোঁজে নামেন সোমবার রাতে। বন্দুক তাক করে একের পর এক আখ ক্ষেতে তল্লাশি চালান। কিছু দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বহরাইচে এসেছিলেন। তিনি জেলা প্রশাসনকে দ্রুত ওই নেকড়েটিকে ধরার নির্দেশ দিয়ে যান। কিন্তু সেই নির্দেশের পরেও সোমবার বহরাইচের একটি গ্রামে হামলা চালায় নেকড়ে। ঘটনাচক্রে, ওই এলাকাতেই সভা করে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারে নতুন করে হামলার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়।
চাপে পড়ে যান বিধায়ক সুরেশ্বর সিংহও। বন দফতর তো তল্লাশি চালাচ্ছেই, কিন্তু তার পাশাপাশি এ বার নিজেও বন্দুক তুলে নিলেন বিধায়ক। হামলার খবর তাঁর কাছে আসতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন্দুক নিয়ে নেকড়ের তল্লাশি শুরু করেন বিধায়ক। খবর পেয়েই বনাধিকারিক তাঁর দলবল নিয়ে ওই গ্রামে পৌঁছন। ড্রোন নিয়েও তল্লাশি শুরু হয়। সেই তল্লাশির সময় একটি ক্ষেতের মধ্যে থেকে ছাগলের আধখাওয়া দেহ উদ্ধার হয়।
গত তিন মাস ধরে বহরাইচে মানুষখেকো নেকড়ের তাণ্ডব চলছে। নেকড়ের হামলায় ন’জনের মৃত্যুর হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি। ৫০টি গ্রামে নেকড়ের আতঙ্কে ত্রস্ত। পরিস্থিতি ক্রমাগত ঘোরালো হয়ে ওঠায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাঁচটি নেকড়ে ধরা পড়লেও এখনও অধরা একটি। আর সেটিই এখন বহরাইচের ত্রাস হয়ে উঠেছে।