রাহুলের মন্তব্যের পরেই সমালোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। সরব হয়েছেন মায়াবতী, চিরাগ পাসোয়ানও। অনেকেই মনে করছেন, ওই মন্তব্য ‘দলিত-বিরোধী’।
বিদেশ সফরে গিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বুধবার রাহুল গান্ধীকে বিঁধলেন অমিত শাহ। বললেন, ‘দেশ-বিরোধী, সংরক্ষণ-বিরোধী মন্তব্য।’
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘রাহুলের স্বভাবই হল বার বার দেশবিরোধী শক্তিদের পাশে দাঁড়ানো। এ সব দেশ-বিরোধী, সংরক্ষণ-বিরোধী মন্তব্য করে বার বার দেশের নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন উনি। আঘাত করেছেন মানুষের ভাবাবেগেও।’’ অমিতের আরও দাবি, রাহুলের এই সব মন্তব্য ধর্ম, প্রাদেশিকতা এবং ভাষাকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের বিভাজনের রাজনীতিই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু যতদিন বিজেপি রয়েছে, সংরক্ষণও থাকবে। দেশের নিরাপত্তা নিয়েও কেউ ছেলেখেলা করতে পারবে না।’’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আমেরিকায় দু’টি পৃথক কর্মসূচিতে ভারতে জাতভিত্তিক সংরক্ষণ ব্যবস্থার যৌক্তিকতা এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে শিখদের স্বাধীন ভাবে ধর্মাচরণের অধিকার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন রাহুল। জাতভিত্তিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা প্রসঙ্গে রবিবার এক সভায় রাহুল বলেন, ‘‘কংগ্রেস তখনই সংরক্ষণ ব্যবস্থায় ইতি টানবে, যখন দেশে সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে। এখনও ভারতে তেমন পরিবেশ নেই।’’ রাহুল আরও বলেন, ‘‘আমাদের লড়াই রাজনীতি নিয়ে নয়। আমাদের লড়াই এক জন শিখ তাঁর পাগড়ি পরতে পারেন কি না, তা নিয়েও। এই লড়াই সব ধর্মের জন্য।’’ নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বাধীন ভাবে ধর্মাচরণের অধিকার সঙ্কুচিত হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। এর পরেই সমালোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। সরব হয়েছেন মায়াবতী, চিরাগ পাসোয়ানও। অনেকেই মনে করছেন, রাহুলের মন্তব্য ‘দলিত-বিরোধী’। এ বার সমালোচকদের তালিকায় নাম জুড়ল অমিতেরও।