বরেলির ওই ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে দোষীদের। তরুণীর বাবা ছাড়াও আরও চার আত্মীয়কে একই সাজা শুনিয়েছে আদালত।
পরিবারের কথা মতো বিয়েতে রাজি ছিলেন না তরুণী। তাই শেষমেশ পরিবারের হাতেই খুন হতে হয় তাঁকে। উত্তরপ্রদেশে এক বছর আগের সেই ঘটনায় শনিবার তরুণীর বাবা-সহ পাঁচ আত্মীয়কে যাবজ্জীবনের সাজা শোনাল বরেলির ফাস্ট ট্র্যাক আদালত।
রবিবার পুলিশ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, বরেলির ওই ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে দোষীদের। তরুণীর বাবা ছাড়াও আরও চার আত্মীয়কে একই সাজা শুনিয়েছে আদালত।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২৩ সালে। সে সময় উত্তরপ্রদেশের ফতেহগঞ্জের বাসিন্দা ওই তরুণীর বিয়ের কথা চলছিল। কিন্তু গ্রামেরই অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। তাই বাড়ির লোকের কথা মতো বিয়েতে মত ছিল না তরুণীর। শেষমেশ ২০২৩ সালের ২২ এপ্রিল বাধ্য হয়েই পরিবারের পছন্দের পাত্রের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ওই তরুণী। কিন্তু গোল বাধে শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পরেই। প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয় তরুণীর। খবর পেয়ে বিয়ের পরের দিনই তরুণীর বাবা-সহ অন্যান্য পরিজনেরা এসে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে নিয়ে যান। অভিযোগ, এর পরেই গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয় তাঁর। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল ফতেহগঞ্জ থানায় তরুণী বাবা-সহ পাঁচ আত্মীয়ের বিরুদ্ধে খুন এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই মামলাতেই শনিবার ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে পাঁচ দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিলেন বিশেষ বিচারক অশোককুমার যাদব।