ভারতীয় সীমান্ত পার হতে যাঁরা সাহায্য করেছিলেন তাঁদের নামও তামিলনাড়ু পুলিশকে জানিয়েছেন ধৃতেরা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে এই চক্রের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগ পেয়ে এক কারখানায় হানা দিয়েছিল তামিলনাড়ু পুলিশ। আটক করা হয় সন্দেহভাজন কয়েক জনকে। তাঁদের মধ্যে তিন জনই বাংলাদেশের নাগরিক। তবে তাঁদের জেরা করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক বাংলাদেশি যুবক পুলিশি জেরায় স্বীকার করেন, তিনি নিজের কাকাকে খুন করে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন। আত্মগোপন করেছিলেন তামিলনাড়ুতে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নকল আধার কার্ডও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আটক হওয়া চার জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন তানভির আহমেদ নামে এক বাংলাদেশি যুবক। বছর তিনেক আগে পারিবারিক অশান্তির জেরে নিজের কাকাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছিলেন তানভির। বাংলাদেশের পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলে তিনি স্থানীয় এক দালালের সাহায্যে সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসে পশ্চিমবঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুহাসিন বেগম এবং বন্ধু মোজাম্মেল শেখ। তার পর বাংলা হয়ে তিন জনই পাড়ি দেন তামিলনাড়ুতে। সেখানেই এক কারখানায় কাজও শুরু করেন।
অভিযোগ, তামিলনাড়ুর ভাঙ্গামেডু এলাকার মারিমুথু নামে এক যুবকের কাছ থেকে ৬০০০ টাকা মাথাপিছু হিসাবে নকল ভারতীয় আধার কার্ড তৈরি করেছিলেন তানভিরেরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের আস্তানায় হানা দিয়ে গ্রেফতার করে। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁরা অপরাধের কথা স্বীকার করেন। ভারতের সীমান্ত পার হতে যাঁরা সাহায্য করেছিলেন তাঁদের নামও তামিলনাড়ু পুলিশকে জানিয়েছেন ধৃতেরা। সেই তথ্যের ভিত্তিতে এই চক্রের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তামিলনাড়ুর তিরুপুরের পুলিশ কমিশনার টিম লক্ষ্মী জানান, অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতে আসার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ধৃতদের মধ্যে এক যুবক তাঁর এক আত্মীয়কে খুনের কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় আর কে বা কারা যুক্ত রয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।