‘ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল’ (নাক)-এর মূল্যায়নে ‘এ+’ গ্রেড পেয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এ বার তাদের সিজিপিএ ৩.৪৬। গত বার তাদের সিজিপিএ ছিল ৩.৬৮।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ‘ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল’ (নাক)-এর মূল্যায়নে ‘এ+’ গ্রেড পেয়েছে। এ বার তাদের সিজিপিএ ৩.৪৬। গত বার তাদের সিজিপিএ ছিল ৩.৬৮। ফলাফলে দেখা গিয়েছে, পঠনপাঠন, গবেষণায় যাদবপুর ভাল নম্বর পেলেও পড়ুয়ারা পাশ করার পরে কী করছেন, সে ব্যাপারে সব নথি ‘নাক’-কে দিতে পারেনি তারা। তাই ‘স্টুডেন্ট সাপোর্ট অ্যান্ড প্রোগ্রেশন’-এর ক্ষেত্রে নম্বর তুলনায় কম হয়েছে। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে ‘নাক’-এর প্রতিনিধিদল যাদবপুর ক্যাম্পাসে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি-র কাঠামো শুনে বিস্মিত হয়েছিলেন। এত কম খরচে কী ভাবে পঠনপাঠন হচ্ছে, সে ব্যাপারে তাঁদের নানা প্রশ্ন ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় অবশ্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক কষ্টের কথা বিবেচনা করলে এ বার এই ফল যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। দেখা যাচ্ছে, শিক্ষকদের কনফারেন্সে যোগদানের জন্য এবং গবেষণা শুরু করার জন্য টাকা বন্ধ করে দেওয়ায় নম্বর কমেছে।” প্রসঙ্গত, আগে ‘নাক’-এর প্রতিনিধিদল ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে সব মূল্যায়ন করত। এখন সেই পদ্ধতি বদলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় যে তথ্য পাঠায়, তার উপর নম্বরের ৭০% নির্ভর করে। সেই অনুযায়ী যাদবপুর ৩.২৫ পেয়েছে। বাকি ৩০% ক্যাম্পাস পরিদর্শনের ওপর নির্ভর করে। পার্থপ্রতিম জানান, ক্যাম্পাস পরিদর্শনের উপরে ধার্য নম্বরের মধ্যে যাদবপুর ৩.৮৮ পেয়েছে।