গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন জো বাইডেন। এরই সঙ্গে নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন বাইডেন। এই আবহে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করলেন কমলা হ্যারিস।
গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জো বাইডেন। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের নয়া প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের হয়ে সওয়াল করেন তিনি। যদি শেষ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হয়ে কমলা হ্যারিস এই লড়াইয়ে নামে এবং তিনি জিততে পারেন, তাহলে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন কমলা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে জো বাইডেনের সমর্থন পেয়ে বিবৃতি প্রকাশ করলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে তাঁর ‘এন্ডর্সমেন্টের’ জন্যে ধন্যবাদ জানান কমলা হ্যারিস। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের সার্ভিসের জন্যে সমগ্র দেশের তরফ থেকে তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এরপর কমলা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে বাইডেন আমাকে সমর্থন জানানোয় আমি সম্মানিত। তবে আমি এই মনোনয়ন অর্জন করতে চাই। এই ডেমোক্র্যাটিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে আমি সবকিছু করব। ট্রাম্প এবং তাঁর প্রোজেক্ট ২০২৫-কে হারাব আমরা। আমাদের কাছে নির্বাচনের জন্যে আর মাত্র ১০৭ দিন আছে। একসঙ্গে আমরা লড়ব এবং জিতব।’
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই জো বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকে যে ডেমোক্র্যাটরাই তাঁকে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে যেতে অনুরোধ করছিল। এহেন পরিস্থিতিতে অবশেষে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বাইডেন। আর সঙ্গে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যে সমর্থন জানিয়েছেন নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে।
তবে কেন নির্বাচনে সাড়ে চার মাস আগে সরে দাঁড়ালেন জো বাইডেন? সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর অসংখ্য ভুলভ্রান্তি হচ্ছিল। মুখ ফসকে বিভিন্ন কথা বলে ফেলছিলেন। গত ২৭ জুন ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের ক্ষেত্রেও বাইডেনের পারফরম্যান্স শোচনীয় হয়েছিল। এরপর এক অনুষ্ঠানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ‘পুতিন’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। একটা সময়ে কমলার কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্পকে নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট আখ্যা দিয়েছিলেন বাইডেন। এই আবহে তাঁর শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।