লরেন্স বিশ্নোইদের নিশানায় সলমন খান। লক্ষ্য একটাই, ভাইজানকে হত্যা করা। কৃষ্ণসার হত্যার অভিযোগ রয়েছে অভিনেতার বিরুদ্ধে। এই কৃষ্ণসারকে পবিত্র মনে করেন বিশ্নোই সম্প্রদায়ের মানুষ। ১৯৯৯ সালে ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং থেকে সমস্যার সূত্রপাত। সেই সময়ই কৃষ্ণসার শিকারের অভিযোগ ওঠে সলমনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, তব্বুও। কিন্তু সলমন প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছেন, কৃষ্ণসারের দিকে নাকি তিনি গুলি ছোড়েননি। সম্প্রতি যোধপুর থানায় বসে থাকা সলমনের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। সেই ভিডিয়ো সলমনের ভঙ্গিমা, চলন দেখে অনেকেই তাঁকে অহঙ্কারী বদমেজাজির তকমা দেন। এ বার ‘বিগ বস্ ১৮’ এর মঞ্চ থেকেই তাঁদেরই জবাব দিলেন ভাইজান!
প্রতি মুহূর্তে বিশ্নোইদের তরফ হুমকি পাচ্ছেন। তাঁদের একটাই দাবি, ক্ষমা চাইতে হবে অভিনেতাকে। সম্প্রতি ‘বিগ বস্’-এর সপ্তাহন্তে এসে সলমন এক প্রতিযোগী রজত দালালের বিষয়ে কথা বলছিলেন। রজত একবার সংশোধনাগারে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে তুলনা টানতে গিয়ে সদর্পে সলমন বলেন, “যোধপুরের থানায় যে ভিডিয়ো আপনারা দেখছেন, তাতে অনেকের মনে হয়েছে আমি হয়তো খুব বেশি অসভ্যতা করেছি। কিন্তু যে খানে আমি কোনও ভুল করিনি সেখানে আমি ভয় পাব কেন?”
২০০৮ সালের এক সাক্ষাৎকারে সঞ্চালক কৃষ্ণসার হত্যার ঘটনা জানতে চান। সলমন উত্তরে বলেছিলেন, “এর পিছনে বড় গল্প রয়েছে। কৃষ্ণসারের দিকে কিন্তু আমি গুলিটা ছুড়িনি।” তা হলে কেন আসল হত্যাকারীর নাম প্রকাশ্যে আনছেন না অভিনেতা? অবলীলায় ভাইজান উত্তর দেন, “কোনও লাভ নেই।” এই ভিডিয়ো দেখেই সমাজমাধ্যমে নেটাগরিকের প্রশ্ন, ঠিক কী কারণে ভাইজান আসল হত্যাকারীর নাম লুকিয়ে রেখেছেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনুরাগীদের দাবি, “ভাইজান মনের দিক থেকে খুবই ভাল। তিনি নির্দোষ। কোনও কারণে তিনি নিজের ঘাড়ে দোষ নিয়েছেন।” এ বার পুরানো প্রসঙ্গে টেনে কি সলমন বিশ্নোইদের কোনও বার্তা দিতে চাইলেন!