প্রতি বছর ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেট দেশের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বাজেট শুধুমাত্র সরকারের আয়-ব্যয়ের হিসাব নয়, এটি দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। বাজেটের মাধ্যমে সরকার করের হার, ভর্তুকি, সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য খাতে বরাদ্দ নির্ধারণ করে, যা প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে দেশের প্রতিটি নাগরিকের দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন আনে।
ভারতের সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আয়কর ব্যবস্থা। বাজেটে যদি করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয় বা করের হার কমানো হয়, তাহলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির হাতে অতিরিক্ত অর্থ থেকে যায়। ফলে তারা বেশি খরচ করতে পারেন, যা বাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়িয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে। অন্যদিকে, যদি করের হার বৃদ্ধি করা হয় বা নতুন কর আরোপ করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের খরচের ওপর প্রভাব পড়ে এবং সঞ্চয় কমে যায়।
জীবনযাত্রার খরচও বাজেটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। প্রতিটি বাজেটে পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস, খাদ্যপণ্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর করের হার নির্ধারিত হয়। যদি জ্বালানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি পায়, তাহলে পরিবহন খরচ বেড়ে যায় এবং বাজারে পণ্যের দামও বাড়তে থাকে। অন্যদিকে, সরকার যদি ভর্তুকি বৃদ্ধি করে বা কর কমিয়ে দেয়, তাহলে জিনিসপত্রের দাম কমে এবং সাধারণ মানুষের আর্থিক চাপ কিছুটা লাঘব হয়।
কৃষকদের জীবনেও বাজেটের বড় প্রভাব পড়ে। কৃষিক্ষেত্রে ঋণ মওকুফ, সার ও বীজের ওপর ভর্তুকি, কৃষকদের জন্য সরাসরি অর্থ সহায়তা এবং জলসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি বাজেটে অন্তর্ভুক্ত থাকলে দেশের কৃষকরা উপকৃত হন। কৃষি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন বাড়ে এবং খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা শহর ও গ্রামাঞ্চলের উভয় জনগোষ্ঠীর জন্য লাভজনক।
কর্মসংস্থানের ওপরও বাজেটের বড় প্রভাব রয়েছে। যদি সরকার অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে, তাহলে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়, যা বেকারত্ব কমাতে সাহায্য করে। স্টার্টআপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য কর ছাড় বা আর্থিক সহায়তা থাকলে নতুন ব্যবসা গড়ে ওঠে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, যদি সরকারের ব্যয় সংযম নীতি গ্রহণ করা হয়, তাহলে সরকারি চাকরির সংখ্যা কমে যেতে পারে এবং বেকারত্বের হার বেড়ে যেতে পারে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও বাজেটের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ায়, তাহলে সরকারি স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন সম্ভব হয়। সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হলে সাধারণ মানুষ কম খরচে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে পারেন। একইভাবে, শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বাড়লে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ আরও সহজ হয়ে যায়।
বাজেটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির বরাদ্দ। যেমন প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি, খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প, বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ, বৃদ্ধ ও বিধবাদের জন্য পেনশন ইত্যাদি। এইসব প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়লে দরিদ্র মানুষ বেশি সুবিধা পান, আর বরাদ্দ কমলে তাদের জীবনযাত্রায় সংকট দেখা দেয়।
ব্যাংকিং ও সঞ্চয় প্রকল্পের ওপরও বাজেটের প্রভাব থাকে। যদি ব্যাংকের সুদের হার কমানো হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ তাদের সঞ্চয় থেকে কম লাভ পান, তবে ঋণের হারও কমে যায়, যা গৃহঋণ, গাড়ির ঋণ এবং ব্যবসায়িক ঋণের ক্ষেত্রে সুবিধা নিয়ে আসে। অন্যদিকে, যদি সুদের হার বাড়ানো হয়, তাহলে সঞ্চয়কারীরা বেশি মুনাফা পান, কিন্তু ঋণগ্রহীতাদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে।
ডিজিটাল ইন্ডিয়া ও প্রযুক্তি উন্নয়নের ওপর বাজেটের গুরুত্বও কম নয়। সরকারের বাজেট যদি ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরিতে বিনিয়োগ করে, তাহলে ইন্টারনেট সুবিধা গ্রামাঞ্চলে পৌঁছতে পারে এবং অনলাইন শিক্ষা ও ব্যবসায়িক সুযোগ বৃদ্ধি পায়। ক্রিপ্টোকারেন্সি, ডিজিটাল রুপি এবং ই-কমার্সের ওপর সরকার যদি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে বা কর বসায়, তাহলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওপর তার প্রভাব পড়ে।
পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাজেটের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি সরকার নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করে, তাহলে সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে এবং দূষণ কমবে। সবুজ শক্তির উন্নয়নের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ থাকলে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
সামগ্রিকভাবে, ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেট শুধুমাত্র সরকারের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণের দলিল নয়, এটি সাধারণ মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। বাজেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মানুষের আয়, ব্যয়, সঞ্চয়, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার সুযোগ, চাকরি, পরিবেশ এবং জীবনযাত্রার মান পরিবর্তিত হয়। তাই সাধারণ মানুষের জন্য বাজেটের ঘোষণাগুলি বোঝা এবং তার ভিত্তিতে নিজেদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০১৯ সাল থেকে দেশের বাজেট উপস্থাপন করে আসছেন। তার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। তার বাজেট পরিকল্পনা শুধু সাময়িক অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণে নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বাজেটগুলিতে কর কাঠামো, অবকাঠামো উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্প এবং আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালে, তার প্রথম বাজেটে তিনি কর্পোরেট কর হ্রাস, ডিজিটাল লেনদেন উৎসাহিত করা এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছিলেন। কর্পোরেট করের হার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হয়, যা ব্যবসায়িক পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করে। এছাড়া, স্টার্টআপ কোম্পানিগুলির জন্য বিশেষ কর ছাড় ঘোষণা করা হয়, যাতে তরুণ উদ্যোক্তারা নতুন ব্যবসায় আগ্রহী হন।
২০২০ সালের বাজেটে তিনি কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। কিষাণ ঋণ মওকুফ, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধি তার বাজেটের মূল আকর্ষণ ছিল। এছাড়া, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বড় বিনিয়োগের ঘোষণা করা হয়। নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানো হয়, যা ভবিষ্যতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২০২১ সালের বাজেটে তিনি আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের ওপর জোর দেন। কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা সামলাতে দেশীয় উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য বিশেষ আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করা হয়। এছাড়া, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়, যা মহামারির পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২০২২ সালে, তার বাজেটে ডিজিটাল অর্থনীতি ও প্রযুক্তি খাতের বিকাশের ওপর জোর দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় বাজেটে ডিজিটাল রুপি চালুর ঘোষণা করা হয়, যা ভারতের আর্থিক পরিকাঠামোতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এছাড়া, ক্রিপ্টোকারেন্সির ওপর ৩০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়, যা এই খাতের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে সাহায্য করে। অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়, যা দেশের সড়ক, রেল, বিমানবন্দর এবং শহর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
২০২৩ সালের বাজেটে তিনি মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর করের বোঝা কমানোর জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। নতুন কর ব্যবস্থায় ছয় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত করা হয়, যা সাধারণ মানুষের হাতে আরও বেশি নগদ অর্থ ধরে রাখার সুযোগ করে দেয়। এছাড়া, সবুজ শক্তি উৎপাদন ও পরিবেশ সংরক্ষণ প্রকল্পগুলিতে বড় অঙ্কের বরাদ্দ রাখা হয়, যাতে ভারতের জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস পায় এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হয়।
২০২৪ সালের বাজেটেও নির্মলা সীতারামন দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে নজর দেন। আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের আওতায় প্রযুক্তি, স্টার্টআপ, কৃষি ও শিল্প খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পগুলির বরাদ্দ বাড়ানো হয়, যাতে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি আরও বেশি সুবিধা পান।
নির্মলা সীতারামনের বাজেট পরিকল্পনা ভারতকে আত্মনির্ভর, প্রযুক্তিনির্ভর এবং অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে। তার প্রতিটি বাজেটে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রতিফলন দেখা যায়। কর হ্রাস, ডিজিটাল লেনদেন, কৃষি ও শিল্পোন্নয়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণের মতো বিষয়গুলিকে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন, যা ভবিষ্যতে ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
ভারতের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রায় ছয় দশক পর, ১৯৬২ সালের ১ এপ্রিল থেকে প্রযোজ্য আয়কর আইনকে সংস্কার করে নতুন আয়কর বিল প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সম্প্রতি এই নতুন বিলের ঘোষণা করেছেন, যা দেশের কর ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে।
নতুন আয়কর বিলের মূল লক্ষ্য হলো করদাতাদের জন্য কর প্রদান প্রক্রিয়াকে সহজ, স্বচ্ছ এবং ডিজিটাল করা। বর্তমান আয়কর আইনের জটিলতা এবং বহু ধারার কারণে করদাতারা প্রায়ই বিভ্রান্তিতে পড়েন। এই সমস্যা দূর করতে নতুন বিলে সরল ভাষার ব্যবহার এবং ধারার সংখ্যা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই কর সংক্রান্ত নিয়মাবলী বুঝতে পারেন।
ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে, কর প্রদান প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। নতুন বিলে কর জমা দেওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা থাকবে, যা সময় সাশ্রয় করবে এবং করদাতাদের জন্য প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করবে।
আইনি জটিলতা কমানোর জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কর সংক্রান্ত মামলাগুলির সংখ্যা প্রচুর, যা আদালতের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। নতুন বিলে এই ধরনের মামলা মোকদ্দমা কমানোর জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, যাতে করদাতারা সহজেই তাদের কর সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
কর ছাড়ের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসছে। নতুন বিলে কর ছাড়ের সংখ্যা কমিয়ে কর কাঠামোকে আরও সরল করা হবে, যাতে করদাতারা সহজেই বুঝতে পারেন কোন ক্ষেত্রে তারা কর ছাড় পাবেন এবং কোন ক্ষেত্রে পাবেন না।
একক কর বর্ষ প্রবর্তনের প্রস্তাবও রয়েছে। বর্তমানে মূল্যায়ন বছর এবং আর্থিক বছর আলাদা হওয়ায় করদাতাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। নতুন বিলে এই দুটি বছরকে একীভূত করে একক কর বর্ষ করা হবে, যা করদাতাদের জন্য সুবিধাজনক হবে।
লভ্যাংশ আয়ের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সমস্ত ধরনের আয়ের উপর সমান কর আরোপ করা হবে, যা কর ব্যবস্থায় সাম্যতা বজায় রাখবে।
উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য ৩৫ শতাংশ স্ট্যান্ডার্ড কর আরোপের প্রস্তাব রয়েছে এবং সারচার্জ তুলে নেওয়া হবে। এর ফলে উচ্চ আয়ের ব্যক্তিরা কর প্রদান প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা পাবেন।
নতুন আয়কর বিলের এই পরিবর্তনগুলি দেশের কর ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। করদাতাদের জন্য প্রক্রিয়াটি আরও সহজ, স্বচ্ছ এবং সুবিধাজনক হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।