ক্রিকেট এমন একটি খেলা যেখানে ব্যাটিং ও বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক ম্যাচে ফিল্ডারদের দক্ষতা ও ক্ষিপ্রতা ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে দিয়েছে। ইতিহাসে এমন অনেক ক্রিকেটার আছেন যারা তাদের দুর্দান্ত ফিল্ডিং দক্ষতার জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।
প্রথমদিকে ক্রিকেটে ফিল্ডিংকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো না। কিন্তু আধুনিক ক্রিকেটে ফিল্ডিং একটি অপরিহার্য দিক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটের প্রসারের ফলে ফিল্ডিংয়ে দক্ষতা এখন ম্যাচ জয়ের অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি। আজকের দিনে দুর্দান্ত ফিল্ডিং ছাড়া কোনো দল প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সাফল্য পেতে পারে না।
ফিল্ডিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ দিক সহজ ও কঠিন ক্যাচ নেওয়ার ক্ষমতা।দ্রুততার সঙ্গে বল সংগ্রহ ও থ্রো করা। উইকেট লক্ষ্য করে দ্রুত ও নির্ভুল থ্রো করা। বাউন্ডারি বাঁচানো এবং রান রোধ করা। ব্যাটসম্যানের শট অনুযায়ী তৎপর প্রতিক্রিয়া দেখানো।
ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ফিল্ডাররা
জন্টি রোডস (দক্ষিণ আফ্রিকা)
জন্টি রোডসকে আধুনিক ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ফিল্ডার হিসেবে ধরা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ফিল্ডার তার ক্ষিপ্রতা, ডাইভিং ক্যাচ এবং দুর্দান্ত রান-আউটের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনজামাম-উল-হককে রান-আউট করার দৃশ্য ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফিল্ডিং মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত।
রোডসের বিশেষত্ব ছিল তার অবিশ্বাস্য প্রতিক্রিয়া গতি, দ্রুত থ্রো, এবং দুর্দান্ত ক্যাচিং দক্ষতা। তিনি “ফিল্ডিং আর্টিস্ট” নামে পরিচিত ছিলেন কারণ তার প্রতিটি নড়াচড়া ছিল সুচিন্তিত ও কার্যকরী। রোডস ছিলেন এমন একজন ফিল্ডার যিনি বলকে দ্রুততম সময়ে সংগ্রহ করতে পারতেন এবং ব্যাটসম্যানের জন্য রান নেওয়া কঠিন করে তুলতেন। তিনি সাধারণত পয়েন্ট ও কভার অঞ্চলে ফিল্ডিং করতেন, যেখানে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং ক্যাচ নেওয়া হয়। তার ক্ষিপ্রতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতা ফিল্ডিংয়ের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছিল।
জন্টি রোডস শুধু একদিনের ম্যাচেই নয়, টেস্ট ক্রিকেটেও দুর্দান্ত ফিল্ডিং করতেন। তার ক্যারিয়ারের বিভিন্ন ম্যাচে, বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, তিনি অসংখ্য দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ রান-আউট করেছেন। ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক সিরিজে তার সরাসরি থ্রো দিয়ে রান-আউট করা মুহূর্ত ক্রিকেট প্রেমীদের মনে গেঁথে আছে।
রোডসের দক্ষতা শুধুমাত্র তার নিজস্ব পারফরম্যান্সেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তিনি ফিল্ডিং উন্নত করার জন্য তরুণ খেলোয়াড়দেরও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তার পরামর্শে দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডিং দলগতভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। পরবর্তীতে তিনি আইপিএল ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিভিন্ন দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন।
রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া)
রিকি পন্টিং শুধু অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানই ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন এক কিংবদন্তি ফিল্ডার। বিশেষ করে পয়েন্ট, কভার এবং মিড-অফ অঞ্চলে তার উপস্থিতি ব্যাটসম্যানদের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। পন্টিংয়ের ক্যারিয়ারের অন্যতম বড় শক্তি ছিল তার ক্ষিপ্র গতির , অসাধারণ ক্যাচিং দক্ষতা, এবং নিখুঁত সরাসরি থ্রো।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে তার দুর্দান্ত ফিল্ডিং পারফরম্যান্স দলের জন্য বড় ভূমিকা রেখেছিল। সেই টুর্নামেন্টে বেশ কয়েকটি চমকপ্রদ ক্যাচ ও সরাসরি থ্রো দিয়ে তিনি দলের বিজয়ে অবদান রেখেছিলেন।
তার সেরা ফিল্ডিং মুহূর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ১৯৯৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার দ্রুতগতির সরাসরি থ্রো, যা ড্যারিল কালিনানকে রান-আউট করেছিল। এছাড়াও, তার দ্রুতগামী ডাইভিং ক্যাচগুলো বহুবার প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের হতাশ করেছে।
রিকি পন্টিং শুধু ফিল্ডার হিসেবেই নয়, তার অধিনায়কত্বের সময় দলের ফিল্ডিং মান উন্নত করতেও বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। তার অধীনে অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিল্ডিং দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।
পন্টিংয়ের ফিল্ডিং ক্যারিয়ার এমন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা নতুন প্রজন্মের ফিল্ডারদের অনুপ্রেরণা জোগায়। তার পারফরম্যান্স দেখিয়ে দিয়েছে যে, ব্যাটিং ও বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংও খেলার ফলাফল বদলে দিতে পারে।
এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা)
এবি ডি ভিলিয়ার্স তার বহুমুখী দক্ষতার জন্য বিখ্যাত, যার মধ্যে তার ফিল্ডিং অন্যতম। তিনি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হলেও, তার দুর্দান্ত ফিল্ডিং দক্ষতা তাকে আরও বিশেষ করে তুলেছে। উইকেটকিপার এবং আউটফিল্ড ফিল্ডার উভয় ভূমিকাতেই তিনি অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন।
ডি ভিলিয়ার্সের চটপটে প্রতিক্রিয়া, দ্রুতগতির ডাইভিং ক্যাচ এবং নিখুঁত সরাসরি থ্রো তাকে বিশ্বমানের ফিল্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার একহাতে নেওয়া অবিশ্বাস্য ক্যাচটি এখনো ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে গেঁথে আছে।
তার ফিল্ডিংয়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল তার দারুণ গ্লাভস ও ওয়ান-হ্যান্ড থ্রো। তিনি যখন উইকেটকিপিং করতেন, তখন স্টাম্পিং এবং ক্যাচিংয়ে তার ক্ষিপ্রতা প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের আতঙ্কিত করত। আউটফিল্ডে থাকাকালীন, তার সুদূরপ্রসারী থ্রো এবং নিখুঁত সরাসরি হিটিংয়ের দক্ষতা দলের জন্য অপরিসীম সুবিধা এনে দিত।
ডি ভিলিয়ার্সের ফিল্ডিং মানদণ্ড প্রমাণ করে যে আধুনিক যুগের ক্রিকেটে একজন ফিল্ডারের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তার মতো ফিল্ডাররা ক্রিকেটের সৌন্দর্য এবং উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
পল কলিংউড (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের পল কলিংউড ছিলেন এক চমৎকার ফিল্ডার এবং ইংল্যান্ড দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার। ফিল্ডিং দক্ষতার দিক থেকে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। তিনি মূলত পয়েন্ট এবং কভার অঞ্চলে ফিল্ডিং করতেন এবং তার ক্ষিপ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্যাচিং দক্ষতা তাকে দলের জন্য অপরিহার্য করে তুলেছিল।
কলিংউডের ফিল্ডিংয়ের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল তার নির্ভুল থ্রো এবং অসাধারণ ডাইভিং ক্যাচ। তিনি বেশ কয়েকটি ম্যাচে অতি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন, যা দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তার নেওয়া কিছু ক্যাচ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ক্যাচগুলোর মধ্যে গণ্য হয়। বিশেষ করে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নেয়া একহাতের দুর্দান্ত ক্যাচ ক্রিকেট ভক্তদের মনে এখনো অমলিন।
তিনি শুধু ক্যাচিংয়েই নয়, তার দুর্দান্ত গ্রাউন্ড ফিল্ডিং এবং বাউন্ডারি লাইনে অসাধারণ দক্ষতা তাকে একজন বিশ্বমানের ফিল্ডার বানিয়েছে। তার অসাধারণ ফিটনেস এবং ফিল্ডিং দক্ষতা ইংল্যান্ড দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দেরও অনুপ্রাণিত করেছে।
তীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার শুধু তার ব্যাটিংয়ের জন্যই পরিচিত নন, তিনি একজন অসাধারণ ফিল্ডারও ছিলেন। স্লিপ ফিল্ডিংয়ে তার দক্ষতা ছিল অবিস্মরণীয়। বিশেষত, পেস বোলিংয়ের বিরুদ্ধে তিনি দুর্দান্ত দক্ষতা দেখিয়েছেন। তিনি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি খেলার অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যেমন ফিল্ডিংয়েরও সমান গুরুত্ব বুঝতেন। তার গতি এবং প্র্যাকটিসের ফলে, স্লিপে তার একের পর এক দুর্দান্ত ক্যাচ গ্রহন করার দক্ষতা তাকে সেরা ফিল্ডারদের কাতারে নিয়ে আসে।
জ্যাক ক্যালিস
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস শুধু ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের জন্যই পরিচিত ছিলেন না, বরং তার ফিল্ডিংয়ের দক্ষতাও তাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি এনে দিয়েছে। মাঠে তার উপস্থিতি ছিল দুর্দান্ত, এবং ফিল্ডিংয়ে তার সাবলীলতা নজর কাড়তো। ক্যালিসের স্লিপ এবং গালির ফিল্ডিং ছিল অতুলনীয়, আর তার দুর্দান্ত ক্যাচিং এবং বল ফিরিয়ে দেওয়ার দক্ষতা তাকে অনেক বড় দলগুলোর বিপক্ষে কার্যকরী খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
গ্রেগ চ্যাপেল
অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ চ্যাপেল ছিলেন সেই যুগের এক অনন্য ফিল্ডার, যিনি খেলার সময় মানসিক দৃঢ়তা এবং ফোকাসের মাধ্যমে একটি নতুন স্তরে পৌঁছেছিলেন। তার ফিল্ডিং দক্ষতা ছিল অসাধারণ, বিশেষ করে স্লিপে এবং গালির অঞ্চলে। চ্যাপেল ফিল্ডিংয়ের প্রতি তার যে নিবিড় মনোযোগ এবং যত্ন ছিল, তা তাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডার হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে।
সুনীল গাভাস্কার
ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার শুধু তার ব্যাটিংয়ের জন্যই পরিচিত নন, তিনি একজন অসাধারণ ফিল্ডারও ছিলেন। স্লিপ ফিল্ডিংয়ে তার দক্ষতা ছিল অবিস্মরণীয়। বিশেষত, পেস বোলিংয়ের বিরুদ্ধে তিনি দুর্দান্ত দক্ষতা দেখিয়েছেন। তিনি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি খেলার অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যেমন ফিল্ডিংয়েরও সমান গুরুত্ব বুঝতেন। তার গতি এবং প্র্যাকটিসের ফলে, স্লিপে তার একের পর এক দুর্দান্ত ক্যাচ গ্রহন করার দক্ষতা তাকে সেরা ফিল্ডারদের কাতারে নিয়ে আসে।
বেন স্টোকস
বর্তমানে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস তার ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও অনেক খ্যাতি অর্জন করেছেন। বিশেষ করে, তার এক হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরা এবং মাঝখানে গতিশীলভাবে শট ব্লক করার ক্ষমতা তাকে এক অসাধারণ ফিল্ডার হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সরফরাজ আহমেদ
পাকিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদও একজন চমৎকার ফিল্ডার ছিলেন। তিনি কিপিংয়ের পাশাপাশি মাঠে খুবই আগ্রাসী ফিল্ডিং করেন। অনেক সময় তিনি এক হাতে স্টাম্পিং বা ক্যাচ দিয়ে সবার নজর কেড়ে নেন। তার দক্ষতা এবং মাঠে তীক্ষ্ণ মনোযোগ তাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডারদের মধ্যে স্থান দিয়েছে।
উইনস্টন প্যাটারসন
একটি বিশেষ সময়ে, উইনস্টন প্যাটারসন উইন্ডিজ দলের সবচেয়ে ধারালো ফিল্ডার ছিলেন। তার গতিশীলতা, গতিবিধি এবং বল খেলার দক্ষতা এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে ক্রিকেটের দর্শকদের অভিভূত করেছিল। স্লিপ এবং গালির অঞ্চলে তার নিখুঁত অবস্থান তাকে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিল্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ফিলিপ টাফটন
এমন একজন ফিল্ডার হিসেবে যিনি মাঠে তার ফিল্ডিংয়ের জন্য খ্যাতি লাভ করেছিলেন, ফিলিপ টাফটন কেবলমাত্র ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের একজন বোলারই ছিলেন না, তিনি তার ফিল্ডিংয়ের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। তার ক্যাচিং দক্ষতা এবং ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে বল ধরার সঠিক সময় তাকে সেরা ফিল্ডারদের একজন হিসেবে পরিচিত করেছে।
শেন ওয়ার্ন
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্ন ক্রিকেট মাঠে এক উজ্জ্বল নাম, তবে তার ফিল্ডিং দক্ষতাও অনেকের কাছে মুগ্ধতার বিষয়। বিশেষ করে স্লিপে তার ক্যাচ ধরার দক্ষতা ছিল অতুলনীয়। ওয়ার্ন সবসময় বল খেলার মুহূর্তে মনোযোগী ছিলেন, এবং তার ফিল্ডিং অন্যান্য স্পিনারদের থেকে একধাপ এগিয়ে ছিল।
সাকিব আল হাসান
বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান শুধুমাত্র তার ব্যাটিং ও বোলিং দক্ষতার জন্যই পরিচিত নন, তার ফিল্ডিংও অনেক উন্নত। তিনি সবসময় মাঠে সজাগ এবং সক্রিয় ছিলেন, এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বল ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই দক্ষ ছিলেন। তার উপস্থিতি একটি দারুণ শক্তির সূচক ছিল এবং দলের জন্য একটি বড় ভূমিকা পালন করতো।
ক্রিকেটের ইতিহাসে অনেক অসাধারণ ফিল্ডার এসেছেন যারা তাদের দক্ষতা দিয়ে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিয়েছেন। আধুনিক ক্রিকেটে ফিল্ডিং আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও নতুন প্রতিভাবান ফিল্ডার উঠে আসবেন। তাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ক্রিকেটের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলবে।