ভারতের ডাক বিভাগ, যা ইন্ডিয়া পোস্ট নামে পরিচিত, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাক ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘ শতাব্দী ধরে ভারতীয় সমাজ ও অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা এই পরিষেবা শুধুমাত্র চিঠি আদান-প্রদানেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্থিক লেনদেন, সঞ্চয় প্রকল্প, ই-কমার্স লজিস্টিকস এবং ডিজিটাল পরিষেবার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ভারতের ডাক ব্যবস্থার ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। প্রাচীনকালে রাজারা ও শাসকরা সংবাদ আদান-প্রদানের জন্য ডাক ব্যবস্থার বিভিন্ন রূপ ব্যবহার করতেন। মউর্য ও গুপ্ত যুগে বিশেষ বার্তাবাহক দল গঠনের প্রচলন ছিল, যা পরবর্তী সময়ে আরও উন্নত রূপ নেয়। মধ্যযুগে মোঘল সাম্রাজ্যের সময় ডাক ব্যবস্থা নতুন মাত্রা লাভ করে, যখন ঘোড়সওয়ার বার্তাবাহক ও ডাকচৌকি ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রশাসনিক কাজ চালানো হতো। তবে আধুনিক ভারতীয় ডাক ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করা হয় ব্রিটিশ শাসনকালে।
১৭৬৬ সালে লর্ড ক্লাইভ ভারতীয় ডাক ব্যবস্থাকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেন, যা পরবর্তী সময়ে লর্ড ডালহৌসির আমলে আরও সুসংগঠিত রূপ পায়। ১৮৫৪ সালে প্রথমবারের মতো ভারতীয় ডাক ব্যবস্থায় একক ব্যবস্থা গৃহীত হয় এবং দেশব্যাপী একীভূত ডাক ব্যবস্থা চালু করা হয়। একই বছরে ভারতের প্রথম ডাকটিকিট চালু হয়, যা ডাক বিভাগের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এরপর থেকে ধাপে ধাপে ভারতের ডাক ব্যবস্থা আরও উন্নত হতে থাকে এবং স্বাধীনতার পর এটি নতুন দিশা লাভ করে।
বর্তমানে ইন্ডিয়া পোস্ট শুধু চিঠি ও পার্সেল পরিবহন নয়, বরং বহু গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা প্রদান করে। বিশেষত ভারতের বিশাল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে নির্ভরযোগ্য আর্থিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি বড় ভূমিকা পালন করছে। ডাকঘর সঞ্চয় প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে ছোটখাটো বিনিয়োগের সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যৎ আর্থিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট, রেকারিং ডিপোজিট, টাইম ডিপোজিট, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF), এবং কিষান বিকাশ পত্রের (KVP) মতো প্রকল্পগুলি বহু মানুষের জন্য সঞ্চয়ের অন্যতম প্রধান মাধ্যম।
ভারতের ডাক বিভাগ বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়া অভিযানের অংশ হিসেবে ইন্ডিয়া পোস্ট বেশ কয়েকটি নতুন পরিষেবা চালু করেছে, যার মধ্যে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাংক (IPPB) অন্যতম। এই ব্যাংকের মাধ্যমে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ব্যাংকিং পরিষেবা আরও সহজ করা হয়েছে। IPPB-এর মাধ্যমে গ্রাহকরা সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন, অর্থ লেনদেন করতে পারেন এবং বিভিন্ন বিল পরিশোধের সুবিধাও পেতে পারেন।
ডাক বিভাগ শুধুমাত্র চিঠিপত্র ও ব্যাংকিং পরিষেবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং ই-কমার্স ও লজিস্টিকস ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখছে। ই-কমার্সের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ডাক বিভাগের পার্সেল পরিষেবার চাহিদাও অনেক বেড়েছে। ভারত পোস্টের স্পিড পোস্ট, রেজিস্টার্ড পোস্ট ও পার্সেল পরিষেবাগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং এটি দেশের দূরবর্তী এলাকাগুলিতেও পণ্য পৌঁছে দিতে সক্ষম। ভারত পোস্টের নতুন পরিষেবাগুলির মধ্যে রয়েছে ই-কমার্স সংস্থাগুলোর জন্য বিশেষ লজিস্টিক পরিষেবা, যা বড় বড় অনলাইন সংস্থাগুলোর ডেলিভারি চেইনকে আরও শক্তিশালী করেছে।
বর্তমানে ইন্ডিয়া পোস্ট তার ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে মনোনিবেশ করছে। আধুনিক সময়ের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডাকঘরগুলিকে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। পোস্ট অফিসগুলিতে কম্পিউটারাইজড সিস্টেম, অনলাইন ট্র্যাকিং ব্যবস্থা এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহক পরিষেবা সহজ করা হয়েছে। স্পিড পোস্ট ও কুরিয়ার পরিষেবার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ভারত পোস্ট তার পরিষেবা আরও উন্নত করেছে এবং গ্রাহকদের জন্য ট্র্যাকিং সুবিধা, অনলাইন বুকিং এবং দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা চালু করেছে।
ভারতের ডাক ব্যবস্থা শুধুমাত্র আর্থিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ডাকঘরগুলি বহু প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা ও আর্থিক সাক্ষরতার কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করছে। গ্রামীণ ডাক সেবকদের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার আওতায় বহু মানুষ ডাকঘরের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন, যা তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পথে বড় পদক্ষেপ।
বহু বছর ধরে ভারত পোস্ট চিঠিপত্র ও বার্তা আদান-প্রদানের প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে। যদিও ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন ই-মেইল, মেসেজিং অ্যাপ, ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসারের কারণে চিঠি লেখার চল অনেকটাই কমে গেছে, তবুও সরকারি ও প্রশাসনিক কাজে ডাক ব্যবস্থা এখনও গুরুত্বপূর্ণ। আদালতের নোটিশ, সরকারি নিয়োগপত্র, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র আদান-প্রদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে এখনও ডাক ব্যবস্থার ভূমিকা অপরিহার্য।
আগামী দিনে ভারতের ডাক ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ আরও প্রযুক্তিনির্ভর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য ডাক ব্যবস্থাকে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করা, যেখানে আর্থিক পরিষেবা, ই-কমার্স লজিস্টিকস এবং আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সংযোগ ঘটানো হবে। ইন্ডিয়া পোস্ট ইতিমধ্যে তার পরিষেবাগুলো আরও আধুনিক ও গতিশীল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যার ফলে এটি শুধুমাত্র ডাক পরিষেবা নয়, বরং একটি সমন্বিত আর্থিক ও লজিস্টিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থায় পরিণত হচ্ছে।
ভারতে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাংক (IPPB) দেশব্যাপী তার কার্যক্রম বিস্তার করছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলের জনগণ ডিজিটাল ব্যাংকিং পরিষেবার আওতায় আসছেন। বর্তমানে IPPB-এর সারা দেশে ৬৫০টি শাখা রয়েছে এবং ১.৬৩ লক্ষেরও বেশি অ্যাক্সেস পয়েন্টের মাধ্যমে পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর জেলাতেও একটি শাখা ও ২২৪টি অ্যাক্সেস পয়েন্ট চালু রয়েছে, যা অঞ্চলের মানুষের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা সহজলভ্য করে তুলেছে।
ভারতে ডিজিটাল লেনদেনের প্রসারের পাশাপাশি গ্রাহকদের জন্য আর্থিক পরিষেবাকে আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে IPPB পোস্ট অফিস সঞ্চয় অ্যাকাউন্টগুলিকে ব্যাংকের নিজস্ব অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। ব্যাংকটি গ্রাহকদের বিভিন্ন পরিষেবা ও পণ্য সরবরাহ করছে, যার মধ্যে রয়েছে সঞ্চয় ও চলতি হিসাব, ভার্চুয়াল ডেবিট কার্ড, অভ্যন্তরীণ অর্থ স্থানান্তর, বিল পরিশোধ, বিমা পরিষেবা, পোস্ট অফিস সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট সংযুক্তিকরণ, অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা, ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (DLC), আধার-সক্ষম পেমেন্ট সিস্টেম (AEPS) এবং আধার কার্ডে মোবাইল নম্বর আপডেট করার সুবিধা। এছাড়াও, ০-৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিশেষ নিবন্ধন পরিষেবাও দেওয়া হচ্ছে, যা শিশুদের আর্থিক সুরক্ষাকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে।
ভারতে পোস্ট অফিস সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট (POSA) এবং IPPB অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ব্যাংকটি বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধান পোস্ট অফিসগুলোর মধ্যে ব্র্যান্ডিং সম্পর্কিত উপকরণ স্থাপন করা এবং পোস্ট অফিসের ভিতরে ও বাইরে ২৫,০০০-এর বেশি আর্থিক সাক্ষরতা ও গ্রাহক সচেতনতা শিবির আয়োজন করা। এই শিবিরগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকদের পোস্ট অফিস সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট এবং IPPB অ্যাকাউন্টের মধ্যে সংযোগ স্থাপন সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাদের উৎসাহিত করা যাতে তারা সহজেই ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবার সাথে যুক্ত হতে পারেন।

এই ব্যাংক, পোস্টম্যান ও গ্রামীণ ডাক সেবকদের মাধ্যমে বাড়িতে গিয়ে আধার সংক্রান্ত বেশ কিছু পরিষেবা প্রদান করছে। এই পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট প্রদান এবং শিশুদের নাম নিবন্ধন। এই পরিষেবাগুলোর প্রসারের জন্য IPPB কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে। ফলস্বরূপ, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, ব্যাংকটি ৭.০৩ কোটি আধার-সংযুক্ত অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এছাড়াও, ৭.৬৮ কোটি গ্রাহকের আধার কার্ডে মোবাইল নম্বর আপডেট করা হয়েছে, যা আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে গ্রাহকদের সংযুক্ত হতে সাহায্য করেছে।
IPPB-এর মাধ্যমে ভারত সরকারের ডিজিটাল ভারত উদ্যোগ আরও বেগবান হয়েছে, কারণ ব্যাংকটি সাধারণ মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা পালন করছে। বিশেষত, যারা এখনও প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে রয়েছেন, তাদের কাছে ব্যাংকিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য পোস্ট অফিসের বিশাল নেটওয়ার্ককে কাজে লাগানো হচ্ছে। IPPB-এর মাধ্যমে কেবল নগর অঞ্চলে নয়, বরং প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষও সহজেই ব্যাংকিং পরিষেবাগুলোর সুবিধা নিতে পারছেন।
বর্তমানে দেশে পেনশনভোগীদের জন্য ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট প্রদান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই পরিষেবার আওতায় IPPB ইতিমধ্যে ২৪ লক্ষেরও বেশি পেনশনভোগীকে ডিজিটাল জীবনপ্রমাণপত্র প্রদান করেছে, যা তাদের পেনশন সহজেই প্রক্রিয়াকরণে সাহায্য করেছে। তদ্ব্যতীত, ৮১.১৭ লক্ষ গ্রাহককে শিশু নিবন্ধন পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে, যা অভিভাবকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
IPPB-এর ডিজিটাল পরিষেবাগুলোর মধ্যে অন্যতম আধার-সক্ষম পেমেন্ট সিস্টেম (AEPS)। এটি এমন একটি পরিষেবা যেখানে গ্রাহকরা শুধুমাত্র তাদের আধার নম্বর ব্যবহার করেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা গ্রহণ করতে পারেন। PIN-এর পরিবর্তে বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন ব্যবহারের ফলে এই ব্যবস্থা আরও নিরাপদ ও সহজ হয়ে উঠেছে। AEPS-এর মাধ্যমে গ্রামের সাধারণ মানুষও নগদ উত্তোলন, ব্যালেন্স চেক এবং অন্যান্য লেনদেন করতে পারেন, যা ব্যাংকের শাখায় যাওয়ার ঝামেলাকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে IPPB-এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা হলো ভার্চুয়াল ডেবিট কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকরা অনলাইনে কেনাকাটা, বিল পরিশোধ এবং অন্যান্য আর্থিক লেনদেন করতে পারেন, যা ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল ও নিরাপদ করেছে। এছাড়া, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা সহজেই তাদের অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন।
IPPB ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন পরিষেবা যোগ করতে প্রস্তুত রয়েছে। বিশেষত, ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করতে ব্যাংকটি আধার-সংযুক্ত পরিষেবাগুলো সম্প্রসারণের দিকে নজর দিচ্ছে। এছাড়া, গ্রাহকদের জন্য আরও সহজ ও কার্যকর লেনদেন ব্যবস্থা তৈরি করার লক্ষ্যে IPPB ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উন্নয়ন আনতে পারে।
সরকারি উদ্যোগ হিসেবে IPPB দেশব্যাপী যে পরিসরে কাজ করছে, তা এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ডিজিটাল ব্যাংকিং পরিষেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন সহজ করা এবং গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক সুরক্ষা ও পরিষেবা প্রদান করা—এসব ক্ষেত্রেই IPPB গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ফলে ভবিষ্যতে এই ব্যাংক ভারতীয় অর্থনীতির ডিজিটাল রূপান্তরে আরও বড় ভূমিকা রাখতে পারে।